আরও পড়ুন

বিশ্বব্যাপী ৭০% আর্থিক কর্মকর্তা এআইয়ে বিনিয়োগে আগ্রহী

দেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক সিগারেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটি বাংলাদেশ) উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ২৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এ বিনিয়োগ তাদের নগদ প্রবাহ কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অভ্যন্তরীণ উৎস এবং ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে।

বিএটি বাংলাদেশ বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সবুজ পাতা মাড়াই কারখানা, মানিকগঞ্জে সবুজ পাতা শুকানোর কারখানা এবং ঢাকা ও সাভারে সিগারেট উৎপাদন কারখানা পরিচালনা করছে। নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে এসব কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিএটি বাংলাদেশ তৈরি পণ্য রপ্তানি শুরু করে, যা তাদের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা জাগিয়েছে।

জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সময়কালে, প্রতিষ্ঠানটি সিগারেট রপ্তানি থেকে ১৫৫.৪৭ কোটি টাকা এবং তামাক পাতা রপ্তানি থেকে ২০৮ কোটি টাকা আয় করেছে। এছাড়া, সিগারেট বিক্রি থেকে ৩০ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

কর পরিশোধের পর নেট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা এবং নেট মুনাফা ছিল এক হাজার ৩২২ কোটি টাকা। তবে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে নেট মুনাফা কিছুটা কমে ৩৯৭ কোটি টাকায় নেমে আসে।

বিএটি বাংলাদেশের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামাক খাত বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক রপ্তানি বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরির সম্ভাবনা রাখে। দেশীয় তামাক পাতা ও সিগারেটের গুণগত মান এবং ব্যয় প্রতিযোগিতার সুবিধা এ সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করছে।

শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বিএটি বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ৩৫০.৫০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়।

সাভার কারখানায় ২০২১ সাল থেকে বিএটি বাংলাদেশ এক হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ নতুন বিনিয়োগ তাদের উৎপাদন কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।