ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৯ জুলাই, ২০২৪ | ৮:৪৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তে পারে দরপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ
৯ জুলাই, ২০২৪ | ৮:৪৮ এএম
![সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তে পারে দরপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/07/09/20240709084824_original_webp.webp)
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের আন্তর্জাতিক দরপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়তে পারে। এরই মধ্যে দরপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়াতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, কয়েকটি বহুজাতিক কম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গত ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছিল পেট্রোবাংলা।
দরপত্রে অংশ নিতে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ৫৫টি কম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরই মধ্যে দর প্রস্তাব কিনেছে ডজনখানেক বহুজাতিক তেল-গ্যাস কম্পানি। দরপত্র জমা দেওয়ার সময় ছয় মাস, যা ৯ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এদিকে সময় শেষ হওয়ার বেশ আগেই কয়েকটি বহুজাতিক কম্পানি আরো ছয় মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে পেট্রোবাংলায় আবেদন করেছে।
তবে মন্ত্রণালয় দরপত্রের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট—পিএসসি) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দরপত্রের মেয়াদ বাড়াতে কয়েকটি বিদেশি কম্পানির অনুরোধে আমরা একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।’
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অংশের গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লকসহ ২৬টি ব্লক চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১০ সালে গভীর সমুদ্রে দুটি ব্লকে কাজ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের কনোকোফিলিপস। দ্বিমাত্রিক জরিপ চালালেও পরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি পূরণ না হওয়ায় কাজ ছেড়ে চলে যায় তারা। একইভাবে চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার সান্তোস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ু। এখন একমাত্র কম্পানি হিসেবে অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কম্পানি ওএনজিসি। এই দুটি বাদ দিয়ে বাকি ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, বহুজাতিক কম্পানিগুলোকে আগ্রহী করে তোলার জন্য নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট—পিএসসি) আকর্ষণীয় করা হয়েছে। আগের পিএসসিগুলোতে গ্যাসের দর স্থির করে দেওয়া হলেও এবার গ্যাসের দর নির্ধারিত করা হয়নি। ব্রেন্ট ক্রুডের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে ওঠানামা করবে গ্যাসের দর। প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে ব্রেন্ট ক্রুডের ১০ শতাংশ দরের সমান। অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৮০ ডলার হলে গ্যাসের দাম হবে আট ডলার। দামের পাশাপাশি সরকারের শেয়ারের অনুপাতও কমানো হয়েছে।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দরপত্র জমা দেওয়া শেষ হলে আগ্রহী কম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে পেট্রোবাংলা। এরপর সবার প্রস্তাব মূল্যায়ন করে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করা হবে। তবে এর আগেও দরপত্রে অংশ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবে পেট্রোবাংলা। সব প্রক্রিয়া শেষে গ্যাস উত্তোলন পর্যন্ত সাত-আট বছর সময় লাগবে।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিডিং রাউন্ড শেষ হলে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচিত কম্পানির সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এতে আগামী বছরের মধ্যে তারা সাগরে অনুসন্ধানকাজ শুরু করতে পারবে। গত মার্চে আহ্বান করা দরপত্রে দেশের স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী কম্পানির স্বার্থও দেখা হয়েছে। ফলে এবারের দরপত্র নিয়ে সরকার বেশ আশাবাদী বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ সেদিন আরো বলেন, অফশোরের পাশাপাশি অনশোর বা ভূমিতেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো জোরদার করতে মডেল পিএসসি হালনাগাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
![সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তে পারে দরপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)