ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৪:৪০:২৯ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩৮ এএম

অনলাইন সংস্করণ

সরকারি চিনিকলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপান ও থাইল্যান্ড

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩৮ এএম

সরকারি চিনিকলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপান ও থাইল্যান্ড

ছবি: সংগ্রহ

দীর্ঘদিন ধরে লোকসান দিয়ে আসা রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর পরিচালনা ও আধুনিকায়নের জন্য যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। একসময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে জাপান, থাইল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেললেও, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তারা আবার এই উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

 

এ বিষয়ে গত মাসে ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস একটি চিঠি পাঠিয়েছে শিল্প ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের চিনি ও খাদ্যশিল্পে বিনিয়োগ করে আসছে। ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের সুটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং জাপানের মারুবেনির প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা সহায়তার মাধ্যমে বিএসএফআইসি (বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন) আওতাধীন চিনিকলগুলোর আধুনিকায়নের জন্য যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

 

 

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিএসএফআইসি এবং সুটেকের নেতৃত্বে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়। এর পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সারাকারা ইন্টারন্যাশনাল ও আওয়াদ আল আমরি-সহ আরো একটি কনসোর্টিয়ামের সাথে সেতাবগঞ্জ, রাজশাহী এবং মোবারকগঞ্জ চিনিকল পরিচালনার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

 

 

এখন, উভয় পক্ষের মধ্যে যৌথ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য ২০২১ সালের ৬ জুন একটি ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিটি এই প্রস্তাবের আনুপাতিক অংশীদারিত্ব এবং অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছে।

 

 

যদিও প্রথমে বিএসএফআইসি’র আওতাধীন চিনিকলগুলো শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন করার প্রস্তাব ছিল, তবে পরবর্তীতে সরকারের সিদ্ধান্তে সরকারি-বেসরকারি যৌথ মালিকানাধীন একটি কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং কার্যকর পরিচালনার লক্ষ্য রয়েছে।

 

 

এখন দেখার বিষয় হবে, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির সঙ্গে কীভাবে এই যৌথ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন হয় এবং বাংলাদেশের চিনিকল খাতের ভবিষ্যৎ কী হবে।

সরকারি চিনিকলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপান ও থাইল্যান্ড