ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪৯:৪৭ এএম

সরবরাহ বাড়ায় খাতুনগঞ্জে নিম্নমুখী পেঁয়াজের বাজার

১৮ আগস্ট, ২০২৪ | ৭:২ পিএম

সরবরাহ বাড়ায় খাতুনগঞ্জে নিম্নমুখী পেঁয়াজের বাজার

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে উৎপাদন বন্ধ থাকায় দেশী পেঁয়াজের সরবরাহও কমেছে। কিন্তু চীন ও পাকিস্তানের মতো বিকল্প কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, যার কারণে নিম্নমুখী হয়েছে মসলাপণ্যটির দাম।


দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে পাইকারি পর্যায়ে চীন ও পাকিস্তান থেকে আসা পেঁয়াজের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিকল্প অন্য কয়েকটি দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানির কথা। এর আগে টানা কয়েক মাস পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৯৫-৯৮ টাকা। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ দুদিন পাইকারিতে ভারতীয় ও দেশী পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা কমে বেচাকেনা হয়েছে।

 

খাতুনগঞ্জের আড়ত ও ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, চীনা পেঁয়াজ বর্তমানে বেচাকেনা হচ্ছে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ৬০-৭০ টাকায়। অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ পাইকারিতে বেচাকেনা হয়েছে কেজিপ্রতি ৬৫-৮০ টাকায়।

 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, গত সপ্তাহে চীন ও পাকিস্তানের পেঁয়াজের দুটি চালান খালাস হয়েছে। বিকল্প দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির আইপি (আমদানি অনুমতিপত্র) নেয়ার আবেদনের সংখ্যাও বেড়েছে।

 

খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহও কম, যার কারণে চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা অন্য কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। এ কারণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থেকে পেঁয়াজের বাজার কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতায় ফিরেছে।’

সরবরাহ বাড়ায় খাতুনগঞ্জে নিম্নমুখী পেঁয়াজের বাজার