ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
সামিটের দুই প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি ১১১৩ কোটি টাকা
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২২ এএম
![সামিটের দুই প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি ১১১৩ কোটি টাকা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/22/20241222100258_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সামিট পাওয়ার লিমিটেড ও সামিট করপোরেশনের বিরুদ্ধে প্রায় ১,১১৩ কোটি টাকা উৎসে কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি লভ্যাংশের ওপর প্রযোজ্য উৎসে কর সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি।
সিআইসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামিট পাওয়ার ও সামিট করপোরেশন গত ছয় বছরে উৎসে কর ফাঁকি দিয়েছে। সামিট পাওয়ার: ছয় করবর্ষে ৪৬৫ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। সামিট করপোরেশন: পাঁচ করবর্ষে ৬৪৭ কোটি ৭৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা। ফলে মোট উৎসে কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,১১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সামিট পাওয়ার ও করপোরেশন লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ১১৭ অনুযায়ী প্রযোজ্য উৎসে কর কর্তন করেনি।
সামিট পাওয়ার থেকে সামিট করপোরেশনকে লভ্যাংশ দেওয়া হলেও ২০ শতাংশ উৎসে কর কর্তন করা হয়নি। সামিট করপোরেশন সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালকে লভ্যাংশ প্রদানকালে উৎসে কর কর্তন করেনি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এনবিআরের স্পষ্টীকরণের পরও প্রতিষ্ঠান দুটি এই কর ফাঁকির পথ অবলম্বন করেছে। আইন লঙ্ঘন বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি বিদেশি কোম্পানিকে লভ্যাংশ প্রদান করলে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠান দুটি এই নিয়ম অনুসরণ করেনি। স্পষ্টীকরণ এনবিআরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য। কিন্তু সামিট পাওয়ার ও করপোরেশন এটিকে কার্যকর করেনি।
সিআইসির প্রতিবেদনে সামিট পাওয়ার ও সামিট করপোরেশনের ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন ও আয়কর রিটার্ন যাচাই করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সামিট পাওয়ার ১,৯৭৫ কোটি টাকার লভ্যাংশ প্রদানে ৩৯৫ কোটি টাকা কর কর্তন করা উচিত ছিল। কর্তন হয়েছে মাত্র ৭৬ কোটি টাকা। সামিট করপোরেশন ২,৯১৭ কোটি টাকার লভ্যাংশ প্রদানে ৪৩৭ কোটি টাকা কর কর্তন করা হয়নি।দায়িত্বহীনতা ও এনবিআরের পদক্ষেপ
এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটি কৌশলে কর ফাঁকি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর অফিস বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান ও সামিট পাওয়ারের কোম্পানি সচিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।
এনবিআর বলছে, প্রতিষ্ঠান দুটি আয়কর আইনের ধারা ভঙ্গ করে বড় অঙ্কের উৎসে কর ফাঁকি দিয়েছে। বিষয়টি দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এনবিআর প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশাবাদী।
- ট্যাগ সমূহঃ
- সামিটের
- প্রতিষ্ঠানের
- কর
- ফাঁকি
![সামিটের দুই প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি ১১১৩ কোটি টাকা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)