ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪১:১৭ এএম

সিএমএসএমই গ্রাহকদের ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন বিধিমালা শিথিল

৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:১৫ পিএম

সিএমএসএমই গ্রাহকদের ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন বিধিমালা শিথিল

ছবি: সংগ্রহ

কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতে ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তি পরিশোধ না করা ঋণকে ‘নন-পারফর্মিং’ ঋণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়; যা তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমানের ঋণ), ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক ঋণ) ও ‘ব্যাড বা লস’ (খারাপ বা মন্দ ঋণ) হিসেবে এগুলো শ্রেণিকরণ করা হয়।

 

নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, সিএমএসএমই ঋণের ক্ষেত্রে নিম্নমান বা প্রাথমিক মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে এনবিএফআইকে, যা আগে ২০ শতাংশ ছিল।

 

সন্দেহজনক বা মধ্যম মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণের শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আগে ৫০ শতাংশ ছিল। মন্দ মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণের যে শর্ত ছিল, তাই বহাল রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

 

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

 

এছাড়া ‘বিশেষ উল্লেখ হিসাব’ এর অধীনে শ্রেণিকৃত ঋণ বা লিজ হিসাবের বকেয়া স্থিতি থেকে স্থগিত সুদ বাদ দেয়ার পর প্রাপ্ত স্থিতির ওপর ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন বা সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সিএমএসএমই ঋণের ক্ষেত্রে এই হার হবে ০.২৫ শতাংশ।

 

ব্যাংকের স্বাস্থ্য রক্ষা ও আমানতকারীদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার জন্যই প্রভিশন রাখার এ ব্যবস্থা। খেলাপি হওয়া ঋণ উদ্ধার করার ঝুঁকি বিবেচনায় এর বিপরীতে নগদ টাকা প্রভিশন রাখার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু অতিরিক্ত প্রভিশন রাখতে গিয়ে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় মূলধন রাখতে ব্যর্থ হয়। কারণ দিন শেষে মূলধন থেকে তহবিল সরিয়ে তা প্রভিশন হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

সিএমএসএমই গ্রাহকদের ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন বিধিমালা শিথিল