ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:২০:৪৬ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১৬ মে, ২০২৪ | ১১:০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সৌরবিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সরকার

১৬ মে, ২০২৪ | ১১:০ পিএম

সৌরবিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সরকার

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দেশে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। এখন প্রতি ইউনিট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উদ্যোক্তাদের ১০ সেন্ট (১১.৭০ টাকা) করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ নেমেছে সাড়ে তিন রুপিতে (৫.৬০ টাকা)। একই সঙ্গে ভারত পরিকল্পনা করছে ২০৩০ সালের মধ্যে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ দুই দশমিক ৯০ রুপিতে (৪.৬৪ টাকা) নামিয়ে আনতে। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুতের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সরকারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে। কীভাবে সৌরবিদ্যুতের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে সরকারের আলোচনা হচ্ছে। তবে দেশে জমি উন্নয়ন ব্যয় এবং বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণকে ব্যয়বহুল উল্লেখ করছেন অনেকে।


তারা বলছেন, ভারত এই দুটি কাজ করে দেওয়ার পর উদ্যোক্তাকে বলছে প্যানেল বসাতে। এ জন্যই দেশটিতে সৌরবিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।


বাংলাদেশ সেই জায়গায় কী করছে, জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার ভিত্তিতে সরকার তাদের ২০ হাজার একর জমি দেবে। সেখানে একটি সোলার হাব করা হবে। এই সোলার হাবে ৬ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সোলার হাব থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

 

গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ওয়াট সৌর প্যানেলের দাম ছিল ২১ সেন্ট (২৪.৫৭ টাকা)। এখন প্রতি ওয়াট সৌর প্যানেলের দাম নেমে এসেছে ১৪ সেন্টে (১১.৯৬ টাকা)। এর সঙ্গে ইনভার্টার, ক্যাবল এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় যোগ করলে প্রতি ওয়াটে খরচ পড়ে ১৭ সেন্ট (১৪.৫২ টাকা)। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ব্যয় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। সংগত কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও কমে যাবে।


ফলে বিশ্বব্যাংক যদি জমি উন্নয়ন এবং সঞ্চালন লাইন নির্মাণের ব্যয় কেন্দ্রীয়ভাবে করে দেয় সেক্ষেত্রে দাম অনেক কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান জামালপুর পরিদর্শন করেছেন। ব্রহ্মপুত্রের চরে এই সোলার অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছ। তবে এখনও জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়নি।

 

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, জামালপুরে ২০ হাজার একর জমিতে আমরা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। প্রাথমিকভাবে ছয় হাজার মেগাওয়াট বলা হলেও জমির পরিমাণ যা, তাতে প্রায় আট হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে সেখানে।

 

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক এই জায়গায় একটা প্রি-ফিজিবিলিটি করেছে, ল্যান্ডস্ক্যাপ থেকে তারা আইডেন্টিফাই করেছে। এখন আমরা এটার ওপর ফিজিবিলিটি স্টাডি করছি। আগামী নয় মাসে আমরা ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ করতে চাই। এরপর আগামী বছর থেকে কেন্দ্রের বাস্তবায়ন কাজের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে আমরা ইওয়াই করেছি। এতে বেশ কিছু কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা শর্টলিস্টও করেছি।

সৌরবিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সরকার