ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৪৯:১৩ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:৬ এএম

অনলাইন সংস্করণ

স্থলবন্দরে ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিনটি বিকল, বাড়ছে মাদকব্যবসা

২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:৬ এএম

স্থলবন্দরে ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিনটি বিকল, বাড়ছে মাদকব্যবসা

ছবি: সংগ্রহ

বেনাপোল স্থলবন্দরে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক থাকলেও নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিনটি । এই সুযোগে বন্দরের অভ্যন্তরে মাদক কারবারিরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ঘটছে চুরির ঘটনাও। নিরাপত্তা সংস্থা আনসার, পিমা, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ এই তিন সংস্থার কর্মীরা থাকার পরও চলছে মাদকের কারবার।

 

সর্বশেষ গত শনিবার রাত ১১টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মাদক পাচারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা হয়েছে। এদিন বিকেলে বন্দরের ৫ নম্বর গেটে চোরাকারবারিকে ধাওয়া দিয়ে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেন বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা। তবে পালিয়ে যায় পাচারকারী। এর আগে গত ২ জুলাই বন্দরের কাঁচামাল ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হয় ৯৯ বোতল ফেনসিডিল।

 

মাদক জব্দ প্রসঙ্গে বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার পিসি হেলালুজ্জামান বলেন, তাঁদের নিরাপত্তাকর্মীরা বন্দরে টহল দেওয়ার সময় দেখতে পান, একটি ট্রাকের পাশে সন্দেহভাজন কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছে। পরে তাদের ধাওয়া করলে একটি ব্যাগ ফেলে কৌশলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ব্যাগে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। বন্দর কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফেনসিডিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

 

তবে বন্দরের একটি সূত্র বলছে, বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পাচার রোধে ১৭৫টি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তদারকির গাফিলতি থাকায় মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে। ফলে অপরাধী ধরা সম্ভব হচ্ছে না। বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সহ সভাপতি আনোয়ার আলী আনু জানান, চোরাকারবারিরা কখনো ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আবার কখনো সীমান্ত পথে ফেনসিডিল নিয়ে বন্দর এলাকায় অবস্থান করে। পরে কৌশলে বিভিন্ন পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাকে ফেনসিডিল তুলে দেয়। আর হয়রানির শিকার হন চালক, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা।

 

বন্দর সুত্রে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তায় ১৬৩ জন আনসার, ৪২ জন আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমার ১২৯ জন কর্মী আছেন। এ ছাড়া রয়েছে ৩৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা দিয়ে বন্দরের চারপাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়। এ ছাড়া সরকারের গোয়েন্দাও রয়েছে সেখানে। এরপরও ঘটছে চুরির ঘটনা। চলতি সপ্তাহে বন্দরের ডিটিএম অফিসে বসানো দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন চুরি হয়। তবে এই অপরাধী এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যদিও এ ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধে বন্দর প্রশাসন পুলিশে অভিযোগ করেছে।

 


বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় আনসাররা কাজ করছেন। বন্দরের ৩টি স্ক্যানিং মেশিন নষ্টের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

স্থলবন্দরে ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিনটি বিকল, বাড়ছে মাদকব্যবসা