ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:০৩:২৪ পিএম

২০০৬ সালের পর রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণ সর্বনিম্নে

১৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:০ পিএম

২০০৬ সালের পর রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণ সর্বনিম্নে

ছবি: সংগ্রহ

বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি কোম্পানির নেয়া ঋণের পরিমাণ ২০০৬ সালের পর সর্বনিম্নে নেমেছে। সম্প্রতি রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিবৃতিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো বিদেশী ঋণ নেমে এসেছে ৩০ হাজার কোটি ডলারের নিচে।


এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রিমিয়া দখল থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও অব্যাহতভাবে বিদেশী পুঁজি প্রত্যাহারের ফলে রাশিয়ায় বৈদেশিক ঋণের এমন পতন।


বিবৃতিতে জানানো হয়, বছরের শুরুর তুলনায় রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণ ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে, যার পরিমাণ ২ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার। এতে বর্তমানে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার।

 

বৈদেশিক ঋণ হলো একটি দেশের জাতীয় ঋণের সে অংশ, যা বিদেশী ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিদেশী কোম্পানি এবং অন্যান্য ঋণদাতার কাছ থেকে নিয়ে থাকে রাষ্ট্র ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

 

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, পণ্য ও পরিষেবা খাতে ঋণের পরিমাণ কমে আসায় বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈদেশিক ঋণ ৮৫০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে সরকারি খাতও বৈদেশিক দায় ১৩০ কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমিয়েছে। এ খাতের ঋণের পরিমাণ বর্তমানে ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলারের নিচে, যা ২০১৫ সালের শেষ দিকের পর সর্বনিম্ন।

 

তবে তৃতীয় প্রান্তিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৪০০ কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৫০ কোটি ডলারে, যা দুই বছরের সর্বোচ্চ।

 

২০১৪ সালে রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণ ৭০ হাজার কোটির বেশি ডলারে গিয়ে ঠেকেছিল। ওই বছর ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বিদেশী পুঁজি প্রত্যাহারের ফলে এ দায় ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ইউক্রেন আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সাল থেকে মস্কোর ওপর নতুন করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈদেশিক ঋণ আরো দ্রুত কমে আসছে।

২০০৬ সালের পর রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণ সর্বনিম্নে