ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:৩৫:৪২ পিএম

৩০০ কোটি ডলারের ঋণের চুক্তি: আইএমএফের সাথে আলোচনায় ঢাকা আসছে প্রতিনিধি দল

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১:৪ পিএম

৩০০ কোটি ডলারের ঋণের চুক্তি: আইএমএফের সাথে আলোচনায় ঢাকা আসছে প্রতিনিধি দল

ছবি: সংগ্রহ

আরও ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে সরকার। নতুন করে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ চাওয়া হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সফরে আসছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

 

আইএমএফের সাথে এরইমধ্যে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কার্যক্রম চলমান। যার শর্ত পূরণে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। আর এই ঋণের তিনটি কিস্তির ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ইতোমধ্যে ছাড় হয়েছে। ৭টি কিস্তিতে পুরো অর্থ মিলবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।

 

পরিবর্তিত অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে গত ২৯ আগস্ট আইএমএফ উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেখানে চলমান ঋণ বর্ধিত করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, এগুলো যেন বাণিজ্যিক ঋণ না হয়, কেননা সরকার বাণিজ্যিক ঋণ নেয়ার পরিস্থিতিতে নেই। ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের একটি কাটামোতে আমরা ঢুকেছি।

 

ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক খাতের সংস্কার উদ্যোগকে গুরুত্ব দেয় আইএমএফ। এক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের সুশাসন, রাজস্ব খাতের অটোমেশন, পুঁজিবাজারে স্বস্তি, বিনিয়োগ পরিবেশ, অর্থের ব্যবহারসহ নানাদিক গুরুত্ব পায়। ঋণের অঙ্ক বাড়লে পরিশোধেও বাড়বে চাপ। 

 

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আইএমএফের নীতির সঙ্গে প্রো-বিজনেস, প্রো-রিফর্মের এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। । কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোকে রিফর্ম করার উদ্যোগ নেয়া এবং একইসাথে এনবিআরের রিফর্ম আমরা দেখতে পাচ্ছি।

 

রাজস্ব খাতে সংস্কার উদ্যোগ হাতে নেয়া গেলে বাড়ানো সম্ভব অভ্যন্তরীণ আয়। এ নিয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফ আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে নিয়ে যেটা করেছে, কর প্রশাসনকে যদি শক্তিশালী করা যায়, সেভাবে অটোমেশন করা গেলে জিডিপির ২-৩ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব।

 

উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে, অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ঋণ নির্ভরতা বাড়লেও জ্বালানির দেনা পরিশোধে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত অর্থ।

 

৩০০ কোটি ডলারের ঋণের চুক্তি: আইএমএফের সাথে আলোচনায় ঢাকা আসছে প্রতিনিধি দল