ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ
৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয়েছে ডিসেম্বরে
২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:২৪ এএম
![৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয়েছে ডিসেম্বরে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/20/20250120091753_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ। এর আগে, ২০২২ সালের মার্চে ১ কোটি ৪৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছিল, যা ছিল পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এদিকে, শুল্কায়ন মূল্যের দিক থেকেও ডিসেম্বরে আমদানির পরিমাণ ৭৩৮ কোটি মার্কিন ডলার পৌঁছেছে, যা ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটির আগে ২০২৩ সালের মে মাসে ৭৬৩ কোটি ডলার পণ্য আমদানি হয়েছিল। পণ্যের দাম, পরিবহন ভাড়া ও বিমা খরচসহ শুল্কায়ন মূল্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ডিসেম্বরে আমদানি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, রোজার আগে নিত্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা ও ব্যবসায় আস্থার পরিবেশের সৃষ্টি। তবে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ডিসেম্বরে চালের আমদানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে, ১ লাখ ৩৬ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল না। এছাড়া, গম, ভোজ্যতেল, পাম, সয়াবিন, চিনি, পেঁয়াজ এবং ডালের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। শিল্পের কাঁচামাল যেমন তুলা, সয়াবিন বীজ এবং সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকারও বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, আমদানি বৃদ্ধির এই প্রবণতা দেশের শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির ইঙ্গিত, এবং এটি বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রসারের প্রতিফলন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "অর্থনীতির জন্য এটি একটি ইতিবাচক সংকেত, কারণ আমদানির সীমাবদ্ধতা শিথিল হয়েছে এবং ব্যবসায়ী মহলে আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।"
এছাড়া, পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির ফলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী অর্থনীতিবিদরা।
- ট্যাগ সমূহঃ
- ৩৩ মাসের
- সর্বোচ্চ
- পণ্য আমদানি
- ডিসেম্বরে