ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:১৪:০৪ পিএম

৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল: প্রেসসচিব

৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:২৫ এএম

৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল:  প্রেসসচিব

ছবি: সংগ্রহ

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অর্থনীতির চাকা সচল হওয়ার দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত করতে ৯০% সফল হয়েছে।

 

 

একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শফিকুল আলম বলেন, "আমরা দেশের অশান্ত সময়টা পার করেছি। এখন দেশ অনেকটা স্থিতিশীল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে এবং অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। আমলাতন্ত্রেও আমরা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছি, যদিও কিছু কিছু জায়গায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। সব মিলিয়ে, অন্তর্বর্তী সরকার গত পাঁচ মাসে একশোর মধ্যে ৯০% সফল হয়েছে।"

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা তুলে ধরে প্রেসসচিব বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়ছে। "যে খারাপ সময়ের মধ্যে আমরা গিয়েছিলাম, তার উন্নতি ঘটেছে। গত তিন-চার মাসের রপ্তানির দিকে লক্ষ্য করুন, সেপ্টেম্বরে ৭%, অক্টোবরে ২১%, নভেম্বরে ১৬% রপ্তানি বেড়েছে। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষে আরো ভালো প্রবৃদ্ধি হবে।"

 

 

তিনি আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের বছরের মতোই রয়েছে, তবে তারা চান অপরাধ কমিয়ে আনা হোক।

 

 

শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য দুটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। একটি সংস্কার পরবর্তী নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে, তবে আরও অধিক সংস্কারের জন্য সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানো হতে পারে। "সংস্কারের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া," বলেন তিনি, "এটা এমন না যে, এক-দেড় বছরের মধ্যে সব সংস্কার শেষ হবে। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার এগিয়ে নেবেন।"

 

 

তিনি জানান, নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলের মতামত এবং সংবিধান সংশোধন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য গঠনের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে অধ্যাপক ইউনূস চেয়ারম্যান।

 

 

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, "এটা শুধু আমাদের দেশে হয় না, পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতিতে এই সংস্কৃতি আরও ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্যাম্পেইনে দেখবেন তাদের মধ্যে কী ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য চলে। রাজনৈতিক বিতর্ক সাধারণ ব্যাপার, তবে এটা সুষ্ঠু সমাধানে আসতে হবে।"

 

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই মাসে ঘোষিত অভ্যুত্থানের প্রক্লেমেশন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি আলোচনা চলছে। শফিকুল আলম বলেন, "এ বিষয়ে আমি বিস্তারিততে যেতে চাই না, তবে অন্তর্বর্তী সরকার চায়, দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের অংশগ্রহণে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি হোক, এবং সেখানে ড. ইউনূস অবশ্যই থাকবেন।"

 

 

শফিকুল আলম আরও বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য থাকবেই। এটা স্বাভাবিক। সকলের মতামত থাকবে এবং জনগণ সেখান থেকে বেছে নেবে। আমরা মনে করি, এই তর্ক-বির্তকের সময়ে কোনো সংঘাত ঘটবে না।"

 

 

তিনি যুক্ত করেন, "গণতান্ত্রিক দেশে বিতর্ক থাকবেই, এবং এই বিতর্কের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু সমাধানে আসা সম্ভব।"

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ মাসের কর্মকাণ্ডে শফিকুল আলমের দাবি, সরকারের অবদান স্বীকার করতে হবে, কিন্তু তাৎক্ষণিক ফলাফলের পাশাপাশি তাদের লক্ষ্য রয়েছে দেশের সার্বিক উন্নতি ও স্থিতিশীলতা।

 

 

দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে শফিকুল আলম আশাবাদী।

 

৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল:  প্রেসসচিব