ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৫:৫৮:৪৫ পিএম

এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত

৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:৫২ পিএম

এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগ্রহ

চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে গত পাঁচ মাস ধরে আটকা থাকা ৪২টি পাজেরো গাড়ি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্কমুক্ত সুবিধায় সংসদ সদস্যদের কোটায় আনা এসব গাড়ির শুল্ক ছাড় করার পরিবর্তে, এনবিআর এবার আমদানিকারকদের শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে গাড়িগুলোর ছাড় দিতে চায়। যদি আমদানিকারকরা শুল্ক পরিশোধে অসমর্থ হন, তবে গাড়িগুলো নিলামে তোলা হবে।

 

 

এনবিআরের এই নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যদি আমদানিকারকরা শুল্ক পরিশোধ করেন, তবে গাড়িগুলোর ছাড় দেওয়া হবে। অন্যথায়, এসব গাড়ি নিলামে তোলা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আয় হতে পারে বলে আশাবাদী এনবিআর।

 


বিডাররা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্তে নতুন আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ জানান, যদি এনবিআরের সিদ্ধান্ত রাজস্ব বোর্ডের স্বার্থে নেওয়া হয়, তবে বিডাররা কোনো আপত্তি করবেন না। তবে, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মহল মনে করছেন, এমপিদের উপস্থিতি না থাকায় গাড়িগুলোর নিলাম হওয়া উচিত।

 


জাপান থেকে আমদানি করা প্রতিটি গাড়ির মূল্য ১ থেকে ১.৫ কোটি টাকা, তবে শুল্কসহ গাড়ির বাজারমূল্য ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকার মধ্যে পৌঁছাতে পারে। এ নিয়ে গাড়ি ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, শুল্কসহ এসব গাড়ির মূল্য বেড়ে যাওয়ার পরও এগুলো বিক্রি করা কঠিন হবে। ফলে, তিনি দ্রুত নিলাম আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন।

 


এনবিআরের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, তবে ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হতে পারে। এখন দেখার বিষয় হবে, আমদানিকারকরা শুল্ক পরিশোধে সক্ষম হন কি না, আর না হলে নিলামের মাধ্যমে এসব গাড়ির মূল্য কতটুকু পাওয়া যাবে।

এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত