ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:২২:০১ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ওষুধের দাম নিয়ে শঙ্কা নেই, কাঠামোগত সমস্যায় সংকটের আশঙ্কা

২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৬ পিএম

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ওষুধের দাম নিয়ে শঙ্কা নেই, কাঠামোগত সমস্যায় সংকটের আশঙ্কা

ছবি: সংগ্রহীত

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের কারণে দেশের বাজারে ওষুধের দাম বাড়বে না। তবে কাঠামোগত সমস্যার সমাধান না হলে সংকট দেখা দিতে পারে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) এর গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

 

 

গতকাল রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে এলডিসি উত্তরণের প্রভাব ও স্থানীয় বাজারে ওষুধের দাম’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে ওষুধের দাম বাড়ার শঙ্কা নেই। তবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে ওষুধশিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে।

 


ড. এম এ রাজ্জাক জানান, বাংলাদেশ ২০২৩ সালে নতুন পেটেন্ট আইন প্রণয়ন করেছে, যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আগের উদ্বেগ নিরসন হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, পেটেন্টের আওতায় থাকা ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ লয়্যালটি দিতে হবে, তবে এতে দাম মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ বাড়তে পারে।

 

 

তাছাড়া বর্তমানে দেশের বাজারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওষুধ পেটেন্টের আওতায়, এবং এ ক্ষেত্রে ডব্লিউটিওর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ মেধাস্বত্ব দিতে বাধ্য নয়। তাই এলডিসি উত্তরণের সরাসরি প্রভাব নেই বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

 


গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ওষুধশিল্পকে সংকট এড়াতে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রধান কাঁচামাল এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট) এর দাম বাড়লে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে নগদ প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রণোদনার পরিমাণ ইতোমধ্যেই কমানো হয়েছে, যা শিল্পে চাপ সৃষ্টি করছে।

 

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এর মূল কারণ বাজেট বরাদ্দের অভাব। র‌্যাপিড সুপারিশ করেছে, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষুদ্র স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তন করা উচিত।

 

 


এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে দেশের ওষুধশিল্পে মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা নেই বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। তবে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রণোদনার অভাবের কারণে সংকট দেখা দিতে পারে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ওষুধের দাম নিয়ে শঙ্কা নেই, কাঠামোগত সমস্যায় সংকটের আশঙ্কা