ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:৩২:২৬ এএম

কর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান

১৫ জুলাই, ২০২৪ | ৯:৪৪ এএম

কর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান

ব্যবসায় কমপ্লায়েন্সের উন্নয়নে কর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফ আহমেদ। রবিবার ডিসিসিআইতে ‘শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর ব্যবস্থাপনা’বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান।

 

 

ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সফলভাবে পরিচালনার জন্য ২০২৪-২৪ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক, ভ্যাট এবং আয়কর আইনের পরিবর্তন সম্পর্কে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সম্যক ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালক কামরুল হাসান তুহিন এবং এম মোশাররফ হোসেন প্রমূখ এতে উপস্থিত ছিলেন।



কর্মশালায় আয়কর ব্যবস্থাপনা, ভ্যাট এবং শুল্কের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে ডিসিসিআইর কাস্টম, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন বিষয়ক স্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়য়া, এফসিএ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কমিশনার (কাস্টমস্, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা-দক্ষিণ) মো. জাকির হোসেন এবং দি ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সহ-সভাপতি এম বি এম লুৎফুল হাদি, এফসিএ।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে কমপ্লায়েন্সর উন্নয়নে দেশের কর ব্যবস্থাকে পুর্ণাঙ্গরূপে ঢেলে সাজানো গেলে ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় হ্রাস পাবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাও সহজ হবে। বিশেষকরে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মানসম্পন্ন হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে কর নিরূপন করা প্রয়োজন।



ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশনের মাধ্যমে বিদ্যমান বৈষম্য ও ঘাটতি নিরসন করা সম্ভব। একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাজস্ব কাঠামো করজাল সম্প্রসারণে সহায়তা করবে, পাশাপাশি করপ্রদানকারীদের হয়রানিমূলক সেবা নিশ্চিত করবে।’
ভ্যাট বিষয়ক মূল প্রবন্ধে এনবেআরের কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইনে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে এনবিআরের ওয়ার্কিং প্রসিউডিরের ক্ষেত্রে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে।



এতে স্নেহাশীষ বড়য়া বলেন, ‘দেশের শিল্পায়নের পাশাপাশি অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমদানি শল্ক কমাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে আয়কর ও ভ্যাটের উপর। দেশের অর্থনীতির বিদ্যমান সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় একটি সহনশীল রাজস্ব ব্যবস্থার নিশ্চিত করতে হবে।’

শুল্ক বিষয়ক মূল প্রবন্ধে এম বি এম লুৎফুল হাদি বলেন, ‘ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে নতুন শুল্ক আইন প্রবর্তন করা হয়েছে এবং আইনটি যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯০জন প্রতিনিধি ওই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। তারা প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগদান করে রাজস্ব ব্যবস্থার সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

কর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান