ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:৫৭:৫০ পিএম

কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে আজ থেকে ২৫ শতাংশ ‘ট্রাম্প শুল্ক’

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩৭ এএম

কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে আজ থেকে ২৫ শতাংশ ‘ট্রাম্প শুল্ক’

ছবি: সংগ্রহ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এ শুল্ক ‘ট্রাম্প শুল্ক’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর এক নতুন চাপ সৃষ্টি করবে।

 

 

এদিকে, ট্রাম্প জানিয়েছেন, উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকস যদি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের বিকল্প আনার চেষ্টা করে, তবে তাদের ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা আর ব্রিকস দেশগুলোর ডলারের বিকল্প প্রচেষ্টাকে দেখে থাকতে পারি না। যদি তারা শক্তিশালী ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনো মুদ্রাকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত করতে চেষ্টা করে, তবে তাদের শতভাগ শুল্কের মুখে পড়তে হবে।"

 

 

এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আসা বিভিন্ন পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে, যদিও তেলের ক্ষেত্রে এই নিয়মের কার্যকারিতা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রাম্প এই উদ্যোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন, মাদক প্রবাহ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করছেন।

 

 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি চীনের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা বাতিল করেননি, এবং জানুয়ারিতে তিনি চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। নির্বাচনী প্রচারকালে তিনি চীনের পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।

 

 

এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্যের পর রাশিয়া জানিয়েছে যে, তারা ডলারের বিকল্প হিসেবে কোনো নতুন মুদ্রা প্রচলন করার পরিকল্পনা করছে না। রাশিয়ার পক্ষ থেকে ক্রেমলিন বলেছে, "আমরা কখনও ডলারের বিকল্প হিসেবে নতুন মুদ্রা চালু করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না এবং নেই।"

 

 

ব্রিকস জোটে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো, যার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, অনেক দিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি মিসর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই জোটে যোগ দিয়েছে।

 

 

এদিকে, ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রিনল্যান্ড কেনার বিষয়ে ট্রাম্পের আগ্রহ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, "এটি কোনো কৌতুক নয়। যদি ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহলে তিনি সেখানে বল প্রয়োগের মাধ্যমে দখল নিতে পারেন।"

 

 

ট্রাম্পের এ সব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রাজনীতি ক্ষেত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, এবং দুই দেশের সম্পর্কের ওপর তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।

কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে আজ থেকে ২৫ শতাংশ ‘ট্রাম্প শুল্ক’