ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:১১:২৫ পিএম

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে কানাডা-মেক্সিকোর সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি

৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৭ এএম

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে কানাডা-মেক্সিকোর সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি

ছবি: সংগ্রহীত

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হুমকি দিয়েছেন যে, কানাডা এবং মেক্সিকো যদি তাদের সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত না করে, তবে তাদের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ ঘোষণার পরপরই কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

কানাডিয়ান কর্মকর্তারা যুক্তি দিয়েছেন যে, তাদের সীমান্ত পরিস্থিতি মেক্সিকোর তুলনায় অনেক ভালো এবং সমস্যাগুলো ভিন্ন। তারা দাবি করেন, মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার এবং অবৈধ পারাপার একটি গুরুতর সমস্যা। একই সঙ্গে, তারা চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে উত্তর আমেরিকার বাণিজ্যে একটি ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

 

 

এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম কানাডাকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান থাকা উচিত। তিনি কানাডার ফেন্টানাইল সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে জানান যে, প্রতিটি দেশের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

 

 

অন্যদিকে, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের নেতা ডগ ফোর্ড একে মেক্সিকোর জন্য অপমানজনক বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে কানাডা, চীনের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। তারা সম্প্রতি চীনে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

 

 

মেক্সিকো এই শুল্ক আরোপে এখনো কঠোর অবস্থান নেয়নি। তবে দেশটি সীমান্ত নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়িয়েছে এবং মাদক আটকানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে।

 

 

উভয় দেশের এহেন অবস্থান তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে। মেক্সিকো এই ঘটনাগুলোকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে, তবে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে কূটনৈতিক পথে সমাধানের চেষ্টা করছে।

 

 

কানাডা এবং মেক্সিকোর সম্পর্কের এই টানাপোড়েন শুধু দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নয়, বরং তা উত্তর আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে কানাডা-মেক্সিকোর সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি