ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১০ মার্চ, ২০২৫ | ১২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কুয়েতের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
১০ মার্চ, ২০২৫ | ১২:২৬ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কুয়েতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের আগামী ৭ থেকে ৯ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণেরও আমন্ত্রণ জানান। রোববার ঢাকায় নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলি তুনইয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকালে তারা বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে কূটনৈতিক, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের হালাল খাদ্য শিল্পের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের এই খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজার অনেক বড়। আমি আপনাকে এই উদ্যোগে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উৎসাহিত করছি।'
রাষ্ট্রদূত হামাদাহ কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি বলেন, 'আমরা একসঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।'
উভয় পক্ষ বাংলাদেশে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেন, যা দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে একটি যৌথ উদ্যোগে অপরিশোধিত তেল শোধনাগার স্থাপনের জন্য কুয়েতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং উপসাগরীয় তেল-সমৃদ্ধ দেশটিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধানের পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য আরও ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি সামরিক সদস্যদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের অংশীদারিত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
