ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:২৪:৪৮ পিএম

চট্টগ্রাম বন্দরে অনবোর্ড চার্জ নিয়ে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের টানাপোড়েন

২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১০ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে অনবোর্ড চার্জ নিয়ে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের টানাপোড়েন

ছবি: সংগ্রহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের অনবোর্ড চার্জ নিয়ে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই পক্ষই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে। শিপিং এজেন্টরা অভিযোগ করেছেন, বার্থ অপারেটররা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে, যা অপারেশনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তবে বার্থ অপারেটররা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, এটি কুয়াশা ও প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট সমস্যা।

 

 

 

বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী বলেছেন, বার্থ অপারেশন ধীরগতিতে চলছে না। তবে গত ২১ জানুয়ারি রাতে কিছু ইয়ার্ডে ইকুইপমেন্ট অপারেটরদের কারণে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য ওঠানো-নামানোতে বিলম্ব হয়েছে। ফলে কনটেইনার বহনকারী ট্রেইলারগুলো দীর্ঘ সময় অপেক্ষমাণ থেকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে।

 

 

 

শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেছেন, বার্থ অপারেটররা চার্জ বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে তা অযৌক্তিক। তিনি অভিযোগ করেছেন, বার্থ অপারেটররা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি করছে। শিপিং এজেন্টরা চার্জ বৃদ্ধি করতে রাজি নয়, কারণ এটি ব্যবসার খরচ বাড়াবে।

 

 

 

গত ১৫ জানুয়ারি বন্দর ভবনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, উভয় পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

 

 

 

বার্থ অপারেটররা দাবি করেছে, বর্তমান অনবোর্ড চার্জ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তারা বলছে, ২০০৭ সাল থেকে চার্জ অপরিবর্তিত রয়েছে, অথচ খরচ বেড়েছে। এ জন্য তারা প্রতি কনটেইনারে ৫ ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে, শিপিং এজেন্টরা বলছে, চার্জ বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং বর্তমান ওপেন টেন্ডার ব্যবস্থা হলে চার্জ কমে যাবে।

 

 

বার্থ অপারেটরদের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি কনটেইনারে ৩৫৩ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। তবে শিপিং এজেন্টদের দাবি, বার্থ অপারেটররা প্রতি কনটেইনারে ৬৬২ টাকা লাভ করছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ছে।

 

 

এই পরিস্থিতিতে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উচিত উভয় পক্ষকে সমঝোতায় নিয়ে এসে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া।

চট্টগ্রাম বন্দরে অনবোর্ড চার্জ নিয়ে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের টানাপোড়েন