ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৮ মার্চ, ২০২৫ | ১০:১৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ছয় মাসে ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার
৮ মার্চ, ২০২৫ | ১০:১৩ এএম

ছবি: সংগ্রহ
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) সময়ে ব্যাংকগুলো থেকে সরকার ৬ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে। এতে গত ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা।
শুধু ব্যাংক নয়, সরকারের ব্যাংক-বহির্ভূত ঋণও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যাংকের বাইরে থেকে ২৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে সরকার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের একই সময়ে নিট ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, যা ২০২৩–২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৯ গুণ বেশি। গত অর্থবছরে এই ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৫৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, আগের সরকারের নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতেই চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া বেড়েছে। তবে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি; বরং উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংককে ৫৮ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে।
সরকার চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সার ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১২ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। গত অর্থবছরে এই খাতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছিল সরকার।
ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকেও সরকারের ঋণ বাড়ছে, যার অন্যতম কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের সরকারি সিকিউরিটিজ কেনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণের হার কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ না বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা কমেছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে কমেছিল ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী, সরকার পুরো অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে প্রথমার্ধেই ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া ঋণ পরিকল্পিত পরিমাণের চেয়ে ৬ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা বেশি হয়েছে
