ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ডলার বাজার অস্থিরতার কারণ জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:১৫ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
দেশীয় বাজারে ডলারের দাম নিয়ে চলছে অস্থিরতা, যা বিশেষ করে খোলাবাজারে স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বছরের শেষের দিকে এই অস্থিরতার কারণে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কিছু সময়ের জন্য তা ১২৮ টাকায় পৌঁছেছিল। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশনায় দাম কমে ১২৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছে, তবুও বাজারে এই অস্থিরতা বজায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন রমজান ও ঈদ উপলক্ষে আমদানি নির্ভরতা বেড়ে যাবে, যা ডলারের চাহিদা আরও বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, আগের বকেয়া এলসি বিল পরিশোধের চাপও ডলারের চাহিদা বাড়িয়েছে। যার ফলে ডলারের সরবরাহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এবং এই অবস্থায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "ডিসেম্বর মাস হচ্ছে বছরের শেষ মাস, যা ঋণ পরিশোধের ভ্যালু ডেটের সাথে মিলে যায়। এ কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।" তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর টার্গেট পূরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, যা আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের যোগান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রেটিং অবনমন এবং ফরেন ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় ইউপাস এলসি খোলা এবং পেমেন্টের ম্যাচুরিটি ডেফার্ড করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে অফশোর ব্যাংকিং ঋণের আন্তঃপ্রবাহও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ফলে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈদেশিক দেনা পরিশোধের চাপ বেড়েছে, যা বাজারে বিনিময় হারকে আরও অস্থিতিশীল করেছে। এর পাশাপাশি, রেমিটেন্স আহরণে অ্যাগ্রিগেটরদের একচেটিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগী ভূমিকা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, যা ডলার বাজারে আরও চাপ তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের বাজারের এই অস্থিরতা কাটাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই চাপ কমানো কঠিন হতে পারে।
