ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
দেশের পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের হিস্সা ৮১ শতাংশের বেশি
৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৭ পিএম
![দেশের পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের হিস্সা ৮১ শতাংশের বেশি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/07/20241207140740_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান অংশ নির্ভরশীল তৈরি পোশাক খাতের ওপর। বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশের বেশি আসে এ খাত থেকে। যদিও পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে, নীতিগত সমস্যা, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং অর্থায়নে সংকটের কারণে এসব খাত এখনও যথাযথভাবে বিকশিত হতে পারেনি।
আরও পড়ুন
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)-এর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের রপ্তানি অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত। পোশাকবহির্ভূত খাতগুলোর যথাযথ সহায়তা না পাওয়ায় সেখানে উন্নতি হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং হোম টেক্সটাইলের মতো খাতগুলোর রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নীতিগত প্রতিবন্ধকতা তৈরি পোশাকের বাইরে অন্যান্য পণ্যে রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা নেই। অর্থায়নে জটিলতা পোশাক খাতের মতো অন্যান্য রপ্তানিকারকরা সহজ শর্তে ঋণ বা বিনা শুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ পান না।
অবকাঠামোর অভাব বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ এবং লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে অনেক উদ্যোগ থমকে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে। কৃষিপণ্য রপ্তানি চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে কৃষিপণ্যে ৮.৩৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৭.৬১% প্রবৃদ্ধি হলেও উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রমে আরও সহায়তা প্রয়োজন। পাটজাত পণ্য এই খাতে রপ্তানি ৯.৯৯% কমেছে, যা উদ্বেগজনক।
বিশ্লেষক ও উদ্যোক্তারা বলছেন, পোশাক রপ্তানিতে যেমন সুবিধা দেওয়া হয়, তেমনিভাবে অন্যান্য খাতগুলোতেও সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
উদাহরণস্বরূপ, বিনা শুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা প্রসারিত করা। বৈচিত্র্যের জন্য ভর্তুকি পোশাক খাতের মতো অন্যান্য রপ্তানিখাতেও ভর্তুকি ও প্রণোদনার পরিমাণ বাড়াতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিযোগিতা বাড়াতে গবেষণার ওপর জোর দেওয়া দরকার।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের নেতারা যেমন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন, তেমনি লজিস্টিক সুবিধা বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন। পাশাপাশি, কটন ফাইবারের বিকল্প হিসেবে ম্যানমেইড ফাইবার ব্যবহারের গুরুত্ব দিয়েছেন।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (SANEM)-এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজের মতে, নতুন নীতিগত সংস্কার এবং সরকারি সহায়তা রপ্তানি বৈচিত্র্য আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে পোশাক খাতের ওপর একক নির্ভরশীলতা কমানো প্রয়োজন। বহুমুখীকরণের জন্য সমতাভিত্তিক প্রণোদনা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, এবং দক্ষতার বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি।
![দেশের পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের হিস্সা ৮১ শতাংশের বেশি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)