ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
পেঁয়াজ আমদানিতে পাকিস্তানের বিকল্প বাজারে বাংলাদেশ
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪০ এএম
![পেঁয়াজ আমদানিতে পাকিস্তানের বিকল্প বাজারে বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/14/20250114114031_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৮ লাখ টন। দেশীয় উৎপাদন ৩৫ লাখ টনের কাছাকাছি হলেও ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ ও উৎপাদন পর্যায়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে আসে প্রায় ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন পেঁয়াজ। চাহিদা পূরণে প্রতিবছর ১০ থেকে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এতদিন আমদানির ৯০ শতাংশই ছিল ভারতের ওপর নির্ভরশীল।
২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বাজার অনুসন্ধান শুরু হলে পাকিস্তানসহ আটটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। গত ৬ মাসে আমদানি হওয়া ১৩,৫৯৬ টন পেঁয়াজের মধ্যে পাকিস্তান থেকে এসেছে ৬,২৯১ টন, যা মোট আমদানির ৪৭ শতাংশ। পাকিস্তান বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পেঁয়াজ আমদানির উৎস হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। পাকিস্তান, মিসর, চীন, এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে পাকিস্তান থেকে আমদানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। উদাহরণস্বরূপ, আগস্ট মাসে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের ৭৪ শতাংশই এসেছিল পাকিস্তান থেকে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন জানান, পাকিস্তানের পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, যা ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় সস্তা। আগে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল থাকায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হতো। কিন্তু এখন পাকিস্তান থেকে আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হচ্ছে।
ফরিদপুর, পাবনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় আমদানি নির্ভরতা কমছে। নভেম্বর থেকে দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের পাইকারি দাম সর্বোচ্চ ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকলেও চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পাকিস্তানই এখন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।
![পেঁয়াজ আমদানিতে পাকিস্তানের বিকল্প বাজারে বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)