ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১২:১৫:৪৭ পিএম

বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪ এএম

বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পণ্য, যেমন সস, ভিনেগার, হোয়াইটেনিং পাউডার, আইসিং সুগার, চকোলেট সিরাপ এবং বেবি ফুডে নকল ও ভেজালের বিস্তার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এ কারণে জনস্বাস্থ্যের বিপদ, অর্থনৈতিক ক্ষতি, এবং দেশের ভাবমূর্তির অবক্ষয়সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

 


নকল পণ্য সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, হার্টের সমস্যা এবং ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগ দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি, বৈধ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনকি বৈধ ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ থেকে সরকারও বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

 


বক্তারা বলেছেন, আসল পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ফারাক এবং অতিরিক্ত শুল্কের কারণে পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় নকল পণ্য বাজারে আসছে। অধিক মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল পণ্য তৈরি করে।

 


শুল্ক হ্রাস যেসব পণ্য দেশে উৎপাদিত হয় না, সেগুলোর উপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে চাহিদা অনুযায়ী আমদানির সুযোগ দিতে হবে।  টাস্ক ফোর্স গঠন বাজার তদারকির জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করতে হবে।

 

 

মাননিয়ন্ত্রণ বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে কঠোর তদারকি এবং নিয়মিত ল্যাব টেস্ট চালু করতে হবে।সচেতনতা বৃদ্ধি ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে নৈতিক সচেতনতা এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন প্রয়োজন।দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নকল পণ্য প্রতিরোধে স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

 


জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, "নৈতিকতার ঘাটতির কারণে আমরা উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে পারিনি। দারিদ্র্য এবং শিক্ষার অভাব নকল পণ্যের ব্যাপকতা বাড়াচ্ছে।"

 


নকল পণ্যের বিস্তার রোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। মানসম্পন্ন পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হলে আমদানির প্রক্রিয়া সহজ ও কার্যকর করতে হবে। তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করাও জরুরি। এই উদ্যোগগুলো সফল হলে বাংলাদেশের বাজারে নকল পণ্যের দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব হবে।

বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন