ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৪:০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৪:০ এএম
![বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদা দ্রুত বাড়ছে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/10/02/20241002154133_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খনি কোম্পানি বিএইচপি। সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদা প্রতি বছর ১০ লাখ টন করে বাড়তে পারে।
স্থায়িত্ব, নমনীয়তা ও পরিবাহী সক্ষমতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ, পরিবহন ও শক্তি খাতে তামার ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ধাতুটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন, গ্রিন এনার্জি প্লান্ট ও ডাটা সেন্টার তৈরিতে।
গত বছর বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদা ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ টন। বিএইচপির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার রাগ উদ বলেন, ‘২০৫০ সালের দিকে বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদা বাড়তে পারে ৭০ শতাংশ। সে সময় পর্যন্ত মোট চাহিদা পৌঁছতে পারে পাঁচ কোটি টনে। এ চাহিদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার জন্য উন্নত প্রযুক্তিতে স্থানান্তর।’
বিএইচপির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সাল পর্যন্ত এনার্জি ট্রান্সফরমেশন খাতে তামার চাহিদার ২৩ শতাংশ দখল করবে। বর্তমানে এ খাতে তামা ব্যবহারের পরিমাণ ৭ শতাংশ। ডাটা সেন্টার, ৫জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস ও ব্লকচেইনের মতো ডিজিটাল খাতজুড়ে ২০৫০ সাল পর্যন্ত তামার চাহিদা পৌঁছবে ৬ শতাংশে। বর্তমানে এ খাতে তামা ব্যবহার হচ্ছে সার্বিক ব্যবহারের ১ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়ার খনি কোম্পানিটি চীনের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দিয়েছে। তবে এ সময় বৃদ্ধির হার কম থাকবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এছাড়া আগামী দিনগুলোয় ভারতে তামার চাহিদা বাড়তে পারে। বিএইচপি আরো জানায়, ১৯৯১ সাল থেকে তামার খনির গড় মান প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। আগামী দশকে বৈশ্বিক তামা সরবরাহের এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-অর্ধাংশের মান কমতে পারে। এছাড়া এ সময় তামা পুরনো হওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হতে পারে।’
![বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদা দ্রুত বাড়ছে](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)