দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৭ নভেম্বর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে। সরকারি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে ২৫ দিনে মোট ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধার এই চাল আমদানির শেষ সময় ছিল ১২ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন

শুল্কমুক্ত আমদানির পরও কমছে না চালের দাম, বিপাকে সাধারণ মানুষ

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, মাহবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং ও সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ মোট ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই চাল আমদানি করে। শেষ দিনে তিনটি ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় মোট ৯৭টি ট্রাকে এই চাল বন্দরে পৌঁছেছে।

সরকার বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি প্রদান করেছিল, যার আওতায় ২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ২৫ দিন সময় নির্ধারিত থাকায় অনেক আমদানিকারক এই সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করতে পারেনি।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ভারত সরকার ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশ থেকে সেদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। তখন চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়েছিল।

তবে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সম্প্রতি শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে দুই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়। আমদানির সুবিধার কারণে দেশের চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।