ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ
শুল্কমুক্ত আমদানির পরও কমছে না চালের দাম, বিপাকে সাধারণ মানুষ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:৫ এএম
ছবি: সংগ্রহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও খুচরা বাজারে চালের দাম কমেনি। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, ভারতের স্থানীয় বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়ছেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, কাঁঠাল বাগান ও ঝিগাতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, চালের দাম মানভেদে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। এদিন প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়, নতুন আটাশ ৫৬ থেকে ৬০, মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২, পাইজাম ৬৭ থেকে ৬৮, বাসমতি ৯৪ থেকে ৯৮, আমন ৭০, পোলাও চাল ১২০ এবং নাজির শাইল ৭৮ টাকায়।
জানা গেছে, দেড় বছর বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে ৩১ অক্টোবর শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এসব শুল্কমুক্ত চাল এখনো বাজারে না আসায় দাম কমেনি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী ওলিউল্লাহ বলেন, “আটাশ চালের দাম বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোর সিন্ডিকেটই এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ। এলসি চাল বাজারে এলে দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”
আজিমপুরের বাসিন্দা আলতাফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার চালের দাম কমাতে শুল্ক প্রত্যাহার করলেও বাজারে তার প্রভাব নেই। নতুন চাল বাজারে এলেও দাম কমেনি। বাজার স্বাভাবিক না হলে আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে উঠবে।”
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি নাজের হোসাইন বলেন, “চালের দাম বাড়ার প্রধান কারণ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং বাজারে পর্যাপ্ত তদারকির অভাব। নিয়মিত তদারকি ছাড়া পণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়।”
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, “চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাঁচ লাখ টন ধান সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন ধান বাজারে এলে চালের দাম কমবে। সরকারের শুল্ক প্রত্যাহারের সুফল শিগগিরই পাওয়া যাবে।”