ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪১:১১ এএম

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমলো

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১২:৩০ পিএম

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমলো

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি গত ডিসেম্বর শেষে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশে। এটি আগের মাসের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশের তুলনায় কিছুটা কম, এবং গত বছরের ডিসেম্বরের ১০ দশমিক ১৩ শতাংশের তুলনায় তা অনেকটাই নীচে। বর্তমানের ঋণ প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক সময়ে সর্বনিম্ন রেকর্ড।

 

 

এ পরিস্থিতির জন্য ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ডলার সংকটের কারণে ইতিমধ্যে বিনিয়োগের চাহিদা কমে গেছে। এছাড়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ কমানোর পাশাপাশি সুদহার বাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটও ব্যবসায়িক পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। দেশীয় অর্থনীতির পট পরিবর্তন হলেও, অনেকের কাছে টাকা থাকার পরেও বিনিয়োগ বা ঋণ গ্রহণে আগ্রহ কমেছে, যার ফলে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও ধীর হয়ে পড়েছে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। তবে, ঋণ প্রবৃদ্ধি গড় সুদহারের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার প্রায় ১২ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮ শতাংশের নিচে।

 

 

২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২১ সালের মে মাসে একমাত্র ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ঋণ প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশে পৌঁছেছিল। তার পরবর্তী বছর ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তবে, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে বড় ধসের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যার পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রায় ৯-১০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। বর্তমানে, ঋণ প্রবৃদ্ধির ধীরগতি দেশে অর্থনৈতিক সংকটের অনেকগুলো জটিলতার কারণে আরও প্রকট হয়েছে।

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমলো