ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৫৮:৩০ পিএম

বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমলেও সুদ-আসল পরিশোধের চাপ বেড়েছে

২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:১৯ পিএম

বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমলেও সুদ-আসল পরিশোধের চাপ বেড়েছে

ছবি: সংগ্রহীত

গত সাড়ে ১৫ বছরে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার প্রভাব পড়ছে বর্তমান সরকারের ওপর। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যাচাই-বাছাই শুরু করেছে। ফলে অনেক প্রকল্পে অর্থছাড় কমেছে এবং নতুন প্রকল্প অনুমোদনও হ্রাস পেয়েছে।

 

 


অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বৈদেশিক ঋণ ছাড় হয়েছে ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় কম। তবে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির বাজেট সহায়তার কারণে ডিসেম্বরে অর্থছাড়ে কিছুটা গতি এসেছে।

ঋণ পরিশোধের চাপও বাড়ছে। ছয় মাসে ১৯৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪২ কোটি ডলার বেশি। এর মধ্যে শুধুমাত্র সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

 

 


চলতি সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), যার পরিমাণ ১০৫ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক (৮০ কোটি ডলার)। এ ছাড়া রাশিয়া, জাপান, চীন এবং ভারত থেকেও অর্থ ছাড় হয়েছে।

 

 


প্রকল্পের অগ্রগতি না হওয়া এবং নতুন প্রকল্প যাচাইয়ের কারণে চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতি ৬৭.১১ শতাংশ কমে ২২৯ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। ইআরডি কর্মকর্তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি বাড়বে।

 

 

 


ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেছেন, প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির ওপর অর্থছাড় নির্ভর করে। গত কয়েক মাসে আন্দোলনের কারণে কাজ ব্যাহত হওয়ায় অর্থছাড় কমেছে। তবে এটি সাময়িক, কাজের অগ্রগতি বাড়লে অর্থছাড়ও বাড়বে।

 

 


নতুন সরকার প্রকল্প গ্রহণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ ছাড় ও ঋণ প্রতিশ্রুতি বৃদ্ধি পেতে হলে প্রকল্পের কার্যক্রমে গতি আনতে হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমলেও সুদ-আসল পরিশোধের চাপ বেড়েছে