ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২:৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
ভূরাজনীতি ও উপদেষ্টাদের অসহায় বক্তব্য: মোঃ আলীমুজ্জামান
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২:৩ পিএম
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশকে সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে আসছে না, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশের চারিদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। কেন এমন হল? সেটা বলার চেয়ে ভূরাজনীতি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা যাক। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জাপানকে। বর্তমান সরকার আসার পর দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় জাপান কাজ বন্ধ করে চলে যেতে চায়। যদিও তারা থেকে গেলে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি ও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর দিয়ে এ অঞ্চলের ৫০ কোটি মানুষের বিশাল হাব তৈরি করা যেত।
চীন-আমেরিকার অর্থনৈতিক যুদ্ধ মোকাবিলায় চীন আমেরিকার বাজার ধরে রাখতে ৩.৭০ ট্রিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বিভিন্ন দেশে কারখানা তৈরি করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজ শুরু করেছিল। সেটা বাস্তবায়ন করা গেলে, এবং উক্ত রপ্তানির ১০ শতাংশ পাওয়া গেলে, সেটা বর্তমানের তিনগুণ হতে পারত। তবে, বর্তমান সরকার আইএমএফ বা বিশ্ব ব্যাংক থেকে লোন নিতে যে দরজায় ঝাঁপ শুরু করেছে, তাতে চীন গত তিন মাসে তার চলতি প্রকল্পে এক টাকাও ছাড় করেনি।
এককভাবে আমেরিকা নির্ভর ও সহযোগী পাকিস্তান ভাবায়, সকল বিনিয়োগকারী আগ্রহ হারাচ্ছে। আসলে, স্থিতিশীল দেশ না হলে বিনিয়োগ আসবে না। আইন উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা বন্ধুহীন রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, এক দিকে বঙ্গোপসাগর এবং সেটার ওপারে মিয়ানমার। বন্ধুহীন আমরা হয়েছি, নতুন বন্ধু খোঁজার ছাড়া উপায় নেই। বর্তমান সমস্যা সমাধানের জন্য কূটনীতি ও দক্ষ কূটনীতিক বিশেষ প্রয়োজন, যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকা জরুরি।
বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে একটা গল্প আছে, এক ফকির এক লেংড়াকে বলছে, "মার লাথি, মামলা চালাতে যা টাকা লাগে দিবো।" পাকিস্তান অর্থের অভাবে ৮০ বছরের পুরাতন রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করতে চায়, তাদের জাহাজ এনে আনন্দিত হওয়া উচিত নয়। আমেরিকার পট পরিবর্তনের পর, বর্তমান সরকারের উচিত হবে চীনের সাথে ভালো সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এতে বিশাল ঝুঁকি কাজ করবে, কারণ ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক ভালো। তাদের সাথে অসহায় অবস্থা দেখানোর চেয়ে, বার্গেনিংয়ের জায়গায় ভালো অবস্থানে থাকা যাবে।
সকল সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে হলো রাষ্ট্রের স্বার্থ, সেটা ধরে রাখতে ভূরাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করতে না পারলে জাতি কাউকে ক্ষমা করবে না। সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নিতে হবে। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার আগেই ভূরাজনীতির ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে, সেটা যারা যত দক্ষভাবে করতে পারবে, সে দেশ তত বেশি ভালো অবস্থানে থাকতে পারবে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর। ভালো থাকবেন।
- ট্যাগ সমূহঃ
- ভূরাজনীতি
- উপদেষ্টা
- আলীমুজ্জামান