ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়লেও দাম কমছে না
৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৮ এএম
![ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়লেও দাম কমছে না](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/06/20250106093803_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের জন্য ভোগ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে আমদানি বেড়েছে। গত ছয় মাসে প্রচুর এলসি খোলা হয়েছে, যার ফলে রমজানের আগেই অধিকাংশ পণ্য দেশে পৌঁছবে। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে শুল্ক প্রত্যাহারের প্রভাব ভোক্তাদের কাছে পুরোপুরি পৌঁছাচ্ছে না।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংক রমজানের চাহিদা মেটাতে ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল করেছে। চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর আমদানিতে এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ফলে এলসি খোলার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৫২টি এলসি খোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়েছে।
চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে ছোলা, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল এবং পাম অয়েলের দাম কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা বাজারে এখনও অনেক পণ্য শুল্ক প্রত্যাহারের আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, পাইকারি দামে সামান্য কমতি দেখা গেলেও খুচরা বাজারে এর সুফল পৌঁছাতে সময় লাগছে।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ছোলার মণ ৩,৯০০ টাকা, মশুর ডাল ৪,০০০ টাকা, সয়াবিন তেল ৬,৫০০ টাকা এবং পাম অয়েল ৬,০১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, পণ্যের দাম প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুল্ক প্রত্যাহারের সুফল ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে। শুল্ক সুবিধার পরেও খুচরা বাজারে অনেক পণ্য আগের দামে বিক্রি হচ্ছে, যা ভোক্তাদের জন্য হতাশার কারণ।
রমজানের চাহিদা মেটাতে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়লেও বাজারে এর প্রভাব সীমিত। ভোক্তাদের কাছে শুল্ক সুবিধার সুফল পৌঁছাতে বাজারে নজরদারি বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
![ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়লেও দাম কমছে না](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)