ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি
৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:২০ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, সরকার কর্তৃক হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাটের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসা হয়, তবে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিতে বাধ্য হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি তাদের এই অবস্থান জানান। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, "দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে রয়েছে। এর মধ্যে সরকার একহাতে করের আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যা জনগণের ওপর চাপ বাড়াবে।"
বর্তমানে হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে সাধারণ মানের রেস্তোরাঁ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) রেস্তোরাঁগুলোর ভ্যাট ৫ শতাংশ, যা নতুন পরিকল্পনায় সাড়ে ৭ শতাংশে বাড়ানো হতে পারে। অপরদিকে, নন-এসি রেস্তোরাঁর ভ্যাট ৭.৫ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, ভ্যাট এবং অন্যান্য শুল্ক বৃদ্ধি করা হলেও এসব পণ্যে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য অন্তর্ভুক্ত নেই। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি বা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে তারা দাবি করেছে। এনবিআর আরও জানিয়েছে, এসব পদক্ষেপ এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) বাস্তবায়ন ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েই নেওয়া হচ্ছে।
তবে, ইমরান হাসান দাবি করেন, "বর্তমানে ৭০ শতাংশ রেস্তোরাঁ এখনও ভ্যাটের আওতার বাইরে রয়েছে, অথচ সরকার অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের জন্য অর্থ খরচ করছে। করের আওতা না বাড়িয়ে শুধুমাত্র ভ্যাটের হার বাড়ানোর ফলে সঠিকভাবে রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব নয়।"
তিনি আরও বলেন, "ভ্যাট বর্তমানে আমাদের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস, অথচ দেশে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের আওতার বাইরে রয়েছে। এনবিআর এসব প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।" তিনি সরকারকে আইএমএফের শর্ত অনুসরণ না করে, জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো বন্ধ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সতর্ক করে বলেছে, যদি সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হয়, তবে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে, যা দেশের খাদ্য শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করবে।
