ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৩৯:২২ এএম

শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও স্থিতিশীল হচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার

সীমান্তের আমদানিকারক ও আড়তদার সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা

১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৪৩ এএম

শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও স্থিতিশীল হচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার

ছবি: সংগ্রহীত

দেশে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক শূন্যে নামানো হলেও বাজারে মূল্য স্থিতিশীল হচ্ছে না। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সীমান্ত থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই নিয়ন্ত্রণ না ভাঙা পর্যন্ত দেশীয় বাজারে স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা।

 

 

এদিকে, বাজার বিশেষজ্ঞদের মতামত ভিন্ন। তারা দাবি করছেন, খাতুনগঞ্জে আড়তদারদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে যা আমদানিকারক পর্যায়ে মূল্য বাড়ানোর জন্য দায়ী। ফলে বাজারে শুল্ক প্রত্যাহারের পরও দামের স্থিতিশীলতা আসছে না।

 

 

গত বুধবার এনবিআর আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে। তবুও পেঁয়াজের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসেনি। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য কেজি প্রতি ১০৮ টাকা এবং পাকিস্তানি ও মিশরীয় পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে প্রায় নেই বললেই চলে।

 

 

এ প্রসঙ্গে খাতুনগঞ্জ পেঁয়াজ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, “আমরা কমিশন ব্যবসায়ী; সীমান্তে দর বেঁধে দেওয়া হচ্ছে, আমাদের কিছু করার নেই। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে পেঁয়াজের দামে স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা কম।”

 

 

জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ জানান, কমিশন বাণিজ্য পণ্যের দামে কারসাজির সুযোগ তৈরি করে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে কমিশন বাণিজ্য বন্ধের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন তিনি।

 

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, দেড় মাসের মধ্যে মুড়ি পেঁয়াজ এবং ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন সীমিত থাকে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক।

শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও স্থিতিশীল হচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার