ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:০৮:৩৯ পিএম

সরকারি চিনিকলে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান ও থাইল্যান্ড

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ২:৫ পিএম

সরকারি চিনিকলে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান ও থাইল্যান্ড

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো দীর্ঘদিন ধরে লোকসান দিয়ে আসছে, এবং এই চিনিকলগুলো যৌথ ব্যবস্থাপনায় চালানোর উদ্যোগটি ফের আলোচনার শীর্ষে এসেছে। একসময় জাপান, থাইল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করা হলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে সেই উদ্যোগ পিছিয়ে যায়। তবে, সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কনসোর্টিয়ামটি চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং যৌথ ব্যবস্থাপনায় চালানোর জন্য আবার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

 

গত মাসে ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস শিল্প ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাত বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চিনি ও খাদ্যশিল্পে বিনিয়োগ করছে। ২০১৯ সালে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি) এবং থাইল্যান্ডের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাধীন চিনিকলগুলোর আধুনিকায়নে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

 

 

থাইল্যান্ডের সুটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং জাপানের মারুবেনি তাদের প্রযুক্তিগত এবং ব্যবস্থাপনা সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিএসএফআইসি এবং সুটেকের নেতৃত্বে গঠিত কনসোর্টিয়ামের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এর পর ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সারাকারা ইন্টারন্যাশনাল, আওয়াদ আল আমরি ও বেদোয়ার যৌথ উদ্যোগে গঠিত কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে সেতাবগঞ্জ, রাজশাহী এবং মোবারকগঞ্জ চিনিকল পরিচালনার জন্য একটি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

 

 

২০২১ সালের ৬ জুন উভয় পক্ষের মধ্যে অংশীদারিত্বের আনুপাতিক হারসহ সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা ও নেগোসিয়েশন শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ মালিকানাধীন একটি যৌথ কোম্পানি গঠনের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে।

 

 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যৌথ ব্যবস্থাপনায় চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং পরিচালনা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ চিনি শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব। তবে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং কার্যকর নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সরকারি চিনিকলে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান ও থাইল্যান্ড