ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সরকার এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে
৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:০ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
চলতি অর্থবছরের জন্য সৌদি আরব, মরক্কো ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ৭টি প্রস্তাব উপস্থাপিত ও আলোচিত হয় এবং সবকয়টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জ্বালানি ও সারের চাহিদা মেটাতে কিছু প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। কৃষিকাজের জন্য কোনো সারের অভাব হবে না। চাহিদা মেটাতে ও মজুদ বাড়াতে সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য জ্বালানির দরকার, সেটাও আমরা নিশ্চিত করব। সারের ক্ষেত্রে আমাদের যত রকমের সোর্স আছে সবদিক থেকে চেষ্টা করা হবে। আমাদের কাফকো আছে, ঘোড়াশাল সার কারখানায় ভালো উৎপাদন হচ্ছে।
তাহলে কি দেশে জ্বালানির সংকট ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে জ্বালানির যে সংকট আছে সেটাকে আমরা মিনিমাইজ করছি, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখা যায়।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি সার্বিক দ্বিতীয় লটের ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪৬ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ-এর কাছ থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৩৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওসিপি এস এ মরক্কো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওসিপি এস এ মরক্কো থেকে ষষ্ঠ লটের ৩০ টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৪১৫ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা আদেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় দশম লটের ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫৮১ মার্কিন ডলার।
- ট্যাগ সমূহঃ
- সার
