ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সরকার পরিবর্তনের পর বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা: বাংলাদেশ ব্যাংক ও খোলাবাজারের ইতিবাচক পরিবর্তন
১০ নভেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪৪ পিএম
![সরকার পরিবর্তনের পর বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা: বাংলাদেশ ব্যাংক ও খোলাবাজারের ইতিবাচক পরিবর্তন](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/10/20241110154437_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। আগের তুলনায় নগদ বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পতন থেমেছে। মার্কিন ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ইউরো, মালয়েশীয় রিঙ্গিতসহ কিছু মুদ্রার দাম কমতির দিকে রয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সীমিত ভিসা প্রদানের কারণে রুপির চাহিদাও কমেছে, তবে থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাথের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পরেও বাজারে অস্থিরতা না থাকায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন সরকারের সময়োপযোগী নীতিমালার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের উদ্যোগে আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে, যা ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে নগদে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ছিল ১১৮ টাকা, যা এখন ১২০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। তবে খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিদেশ ভ্রমণে ভিসা পাওয়া কঠিন হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমে এসেছে, বিশেষ করে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার মুদ্রার ক্ষেত্রে। ফলে দেশি পর্যটকদের বিদেশযাত্রা প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
মুদ্রা বিক্রেতাদের মতে, এ পরিস্থিতিতে মুদ্রার দাম কমে আসায় ব্যবসায়ীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবুও বাজারের স্থিতিশীলতা দেশীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।
![সরকার পরিবর্তনের পর বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা: বাংলাদেশ ব্যাংক ও খোলাবাজারের ইতিবাচক পরিবর্তন](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)