ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ
সয়াবিন তেলের সংকট: দাম বাড়িয়েও স্বাভাবিক হয়নি বাজার, ক্রেতাদের ক্ষোভ বৃদ্ধি
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪৩ এএম
ছবি: সংগ্রহীত
সয়াবিন তেলের সংকট কাটাতে চলতি মাসের শুরুতে সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছিল। দাম বৃদ্ধির ফলে সংকট সমাধানের আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। বরং বাজারে আরও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে সয়াবিন তেল, বিশেষ করে এক এবং দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন
সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বোতলজাত তেল কেটে ড্রামে ভরে খোলা তেলের দামে বিক্রি করছেন। এতে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। ভোক্তারা সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত এবং বাজারে স্বচ্ছতা আনতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, চট্টগ্রামের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। চাহিদার তুলনায় অর্ধেক সরবরাহ করায় খুচরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে প্রতি লিটারের দাম অলিগলিতে ১৯০ টাকা এবং বড় বাজারে ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই লিটার বোতলের দাম ৩৬০ টাকা, তিন লিটার ৫৩০ টাকা, এবং পাঁচ লিটার ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকার নতুন দাম নির্ধারণ করে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু তারপরও সরবরাহের ঘাটতি কাটেনি।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার মুদি ব্যবসায়ী জাকির মিয়া জানান, দাম বাড়ানোর পর ডিলারদের কাছ থেকে কোনো নতুন সরবরাহ পাননি। আগে যারা অর্ডার নিয়ে যেত, তারাও আর যোগাযোগ করছেন না। ফলে আগের মজুদ তেল বিক্রি করে কোনোভাবে চালাতে হচ্ছে।
আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকট ও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি এর প্রধান কারণ। ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন সংকট এবং বায়োডিজেলে পাম অয়েলের ব্যবহার বৃদ্ধি বিশ্ববাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন আরমান বলেন, ‘‘দাম বাড়ানোর পর মিল থেকে তেল পরিশোধন ও ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে পৌঁছাতে সময় লাগছে। সরবরাহে এখন আর কোনো বাধা নেই। অচিরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’
তবে পরিস্থিতি কবে পুরোপুরি স্থিতিশীল হবে, তা নিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে সন্দেহ রয়ে গেছে।