ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৫২:৫৪ এএম

৪০০ কোটি পাউন্ড ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:২৮ পিএম

৪০০ কোটি পাউন্ড ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগ্রহ

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী ও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গুরুতর ঘুষ গ্রহণ এবং দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিতর্কিত চুক্তি, যা ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

 


দুদকের তদন্তে বলা হচ্ছে, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তির মধ্যস্থতায় টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবার ৪০০ কোটি পাউন্ড পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। চুক্তিটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রোসাটমের সঙ্গে সম্পন্ন হয়, যার আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিভিন্ন অনৈতিকতার অভিযোগ উঠেছে।

 

 

এছাড়া, অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চুক্তির ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থ ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেই অর্থ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ান ব্যাংক হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে।

 


তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকের মা শেখ রেহানা এবং খালা, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও উঠে এসেছে। একইসঙ্গে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তারিক সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

 


লেবার পার্টি এবং টিউলিপ সিদ্দিক এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

 

যুক্তরাজ্যের টোরি দলের সদস্যরা এ ঘটনায় টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবি করেছেন। এমপি জো রবার্টসন বলেছেন, "এটি একটি গুরুতর অভিযোগ। টিউলিপের মন্ত্রী পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।"

 


রাশিয়ার ক্রেমলিনে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় টিউলিপ ও তার বোন আজমিনাকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। যদিও লেবার পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, টিউলিপ শুধুমাত্র তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।

 


রোসাটম দাবি করেছে, রূপপুর চুক্তি নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিষ্ঠানটি সবসময় স্বচ্ছতার নীতিতে কাজ করে বলে দাবি করেছে।

 


তদন্তের ফলাফল এবং এর প্রভাব ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। তবে এটি স্পষ্ট যে, টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারকে ঘিরে বিতর্ক এখন কেবল বাংলাদেশের রাজনীতিতেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

 

(সংবাদটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং আদালতের নথির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।)

৪০০ কোটি পাউন্ড ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে