ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:৫৯:২৬ পিএম

বাংলাদেশের কাছে ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৫ এএম

বাংলাদেশের কাছে ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে:  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগ্রহ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশের কাছে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।

 


ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ কর্পোরেশন লিমিটেড (টিপিসিএল) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)-এর মধ্যে চুক্তির আওতায় ত্রিপুরা বাংলাদেশে প্রতিদিন ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। বিদ্যুৎ বিল বাবদ বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

 

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ বকেয়া অর্থ দ্রুত পরিশোধ করবে। বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে ত্রিপুরা সরকার এই সেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, “রাজ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য অর্থ প্রদান ছাড়া চলতে পারে না।”

 

 

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান বকেয়া ঋণ বিদ্যুতের অব্যাহত সরবরাহকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। ভারত সরকার কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে এই বিষয়ে একটি সমাধানের প্রত্যাশা করছে।

 


বিদ্যুতের পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সম্পর্কেও উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত হামলার ঘটনা ত্রিপুরায় সম্ভাব্য শরণার্থী আগমনের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

 


ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনো উল্লেখযোগ্য শরণার্থী প্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। তবে ত্রিপুরার উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমজুড়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অরক্ষিত সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

 


ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশকে অতীতের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ হলেও বকেয়া অর্থ দ্রুত পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে। ভারত সরকারও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার বিষয়ে কৌশলী সমাধান খুঁজছে। বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য ইস্যুতে উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের কাছে ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে:  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী