ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৪৩:১৬ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:৩৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস: কারণ ও করণীয়

২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:৩৫ পিএম

বাংলাদেশের পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস: কারণ ও করণীয়

ছবি: সংগ্রহীত

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০ সালে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ ছিল ৮০ শতাংশ, যা ২০২১ সালে কমে ৫৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গবেষণা থেকে জানা যায়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীরা প্রধানত এই শিল্পে যুক্ত থাকেন। তবে ৩৫ বছরের পর অনেক নারী বিকল্প পেশায় যোগ দিচ্ছেন, যেমন কৃষিভিত্তিক কাজ, গৃহস্থালি এবং নিজের মালিকানাধীন দর্জি দোকানে কর্মরত হওয়া।

 

 

সাম্প্রতিক সময়ে কারখানাগুলোর অস্থিরতা, তুলনামূলক বেশি উপার্জনের আকাঙ্ক্ষা এবং স্বাধীন পেশার প্রতি আগ্রহ তাদের এই খাত ছাড়ার কারণ হিসেবে দেখা গেছে। এই অবস্থায় দক্ষ শ্রমিক সংকট তৈরি হলে দেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষে থাকা পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

 

 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত একটি আলোচনায় এই বিষয়গুলো উঠে আসে। অনুষ্ঠানে “বুনন ২০৩০: বাংলাদেশের পোশাক খাতে মূল কার্যক্রম: গভীর পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়” শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন। আলোচনায় দেশের পোশাক খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

 

বিশ্লেষকরা মনে করেন, নারীদের পোশাক খাতে ফিরিয়ে আনতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি এবং সময়মতো ন্যায্য মজুরি প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি অভিযোজন এবং ডিকার্বোনাইজেশন প্রক্রিয়া কার্যকর করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক খাত বর্তমানে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিকের জীবন-জীবিকার উৎস। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা জাতীয় জিডিপিতে ১০.৩৫ শতাংশ অবদান রেখেছে। তবে এই সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

বাংলাদেশের পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস: কারণ ও করণীয়