ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ তিন ধাপ পিছিয়েছে
১২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:৫৮ পিএম
![বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ তিন ধাপ পিছিয়েছে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/10/12/20241012174012_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। গত বছর ১৯ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১তম। তবে এ বছর ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম, স্কোর ১৯ দশমিক ৪। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স এ সূচক প্রকাশ করেছে।
২০০০ সালের তুলনায় এ বছর ক্ষুধার মাত্রা কমেছে বাংলাদেশে, তখন স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৮। আর ২০০৮ সালে ছিল ৩০ দশমিক ৬।
গত ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে ১০৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৩, স্কোর ছিল ২৭ দশমিক ৩। ২০১৬ সালে ১১৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯০, স্কোর ছিল ২৭ দশমিক ১। ২০১৭ সালে ১১৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮, স্কোর ছিল ২৬ দশমিক ৫।
২০১৮ সালে ১১৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৬, স্কোর ছিল ২৬ দশমিক ১। ২০১৯ সালে ১১৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮, স্কোর ছিল ২৫ দশমিক ৮। ২০২০ সালে ১০৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫, স্কোর ছিল ২০ দশমিক ৪। ২০২১ সালে ১১৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬, স্কোর ছিল ১৯ দশমিক ১। ২০২২ সালে ১২১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪, স্কোর ছিল ১৯ দশমিক ৬। ২০২৩ সালে ১২৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১, স্কোর ছিল ১৯ দশমিক ১।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলংকার অবস্থান ৫৬তম। নেপালের অবস্থান ৬৮তম। এরপর রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের অবস্থান ১০৫ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯তম।
বিশ্বজুড়ে ৭৩ কোটি ৩০ লাখ লোক চাহিদার ন্যূনতম খাবার পায় না। আর ২৮০ কোটি মানুষ সুষম খাবার খেতে পারে না। যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এ বছরের ক্ষুধা সূচক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্রা গুরুতর, কারণ এ অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপুষ্টি। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে। এছাড়া বিশ্বের ছয়টি দেশ বুরুন্ডি, শাদ, মাদাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক। ৩৬টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে গুরুতর পর্যায়ে। ২২টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে আছে।
কিছু দেশ ক্ষুধা প্রশমনে অগ্রগতি দেখিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ, মোজাম্বিক, নেপাল, সোমালিয়া ও টোগোতে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে স্কোর উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার কারণ হিসেবে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়া সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, ঋণ সংকট ও বৈষম্যকে দায়ী করা হয়েছে।
![বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ তিন ধাপ পিছিয়েছে](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)