ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন কার্যক্রম প্রায় বন্ধ
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ এএম
![ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন কার্যক্রম প্রায় বন্ধ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/26/20241226095929_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্যাট অডিটের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতি চালু করতে এখনও সময় লাগছে। এ অবস্থায় ভ্যাট আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধের উদ্দেশ্যে এনবিআর ভ্যাট কমিশনারেটগুলোকে ম্যানুয়াল অডিট কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এনবিআরের চিঠি অনুযায়ী, নতুন পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানকে অডিটের জন্য নির্বাচন করা যাবে না।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০,৭৫২ কোটি টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ৪৮,২৭৫ কোটি টাকা, অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১২,৪৭৭ কোটি টাকা।
নভেম্বর মাসেও ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। লক্ষ্য ছিল ১৩,৫১৩ কোটি টাকা, অথচ আদায় হয়েছে ১০,৯৫৭ কোটি টাকা। এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, অডিট ও প্রিভেন্টিভ কার্যক্রমের স্থবিরতার কারণে ভ্যাট আদায় কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মেটানোর উদ্দেশ্যে ম্যানুয়াল পদ্ধতি বন্ধ করা হলেও এতে রাজস্ব আদায়ের গতি হ্রাস পেয়েছে।
ভ্যাট কমিশনারদের মতে, ভ্যাট আদায়ে কমতি হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- ম্যানুয়াল অডিট বন্ধ হওয়া
- প্রিভেন্টিভ কার্যক্রমে শ্লথগতি
- বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতি
অটোমেটেড অডিট পদ্ধতি চালু হলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে পদ্ধতি চালুর আগেই ম্যানুয়াল অডিট বন্ধ করায় এনবিআরকে এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ভ্যাট আদায়ের গতি পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা এবং ম্যানুয়াল কার্যক্রমের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
![ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন কার্যক্রম প্রায় বন্ধ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)