ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোবারকগঞ্জ চিনিকলে প্রতি কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় ৫৪২ টাকা
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:১২ পিএম
![মোবারকগঞ্জ চিনিকলে প্রতি কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় ৫৪২ টাকা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/14/20241214122235_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দক্ষিণাঞ্চলের ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল (মোচিক) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চিনি উৎপাদনে ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। প্রতি কেজি চিনিতে ৪১৭ টাকা লোকসান দিয়ে আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করলেও, সরকারি ভ্যাট ও ব্যাংক ঋণের সুদসহ মিলটির প্রতি কেজি চিনি উৎপাদন ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫৪২ টাকা। গত মৌসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫’শ টন, তবে মিলটি মাত্র ১৮’শ ৭১ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করতে পেরেছে।
এছাড়া, মিলটিতে অপারেশনাল লস হিসেবে ৩৪ কোটি এবং ব্যাংক ঋণের সুদ হিসেবে ৩৬ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এর ফলে মোট ৭০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা এবং ৩৫০ কোটি টাকা ব্যাংকের দেনা নিয়ে আবারও আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মোবারকগঞ্জ চিনিকলে আড়ম্বরপূর্ণভাবে ৫৮তম মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়।
১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মোবারকগঞ্জ চিনিকলটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহর সংলগ্ন এলাকায় ২০৭.৯৩ একর জমির ওপর নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে, মিলটির চলমান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কৃষকদের অভিযোগ, মিলের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা এবং অদক্ষতা। আখের মূল্য না থাকার কারণে অনেক কৃষক আখ চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। কিছু আখ ক্রয় কেন্দ্র বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে, যেখানে এখন পালংশাক ও অন্যান্য সবজির আবাদ হচ্ছে।
মিল সংশ্লিষ্টদের মতে, যদি মিলটি বন্ধ থাকে, তবে বছরে কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ ৮ কোটি টাকা খরচ হবে, আর যদি চালানো হয় তবে লোকসান দাঁড়াবে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত। তবে, তারা দাবি করেন, মিলটি যদি আধুনিকায়ন করা যায়, তবে আবারও লাভের মুখ দেখা সম্ভব।
মোচিকের জিএম (ফাইন্যান্স) হিরণ্যয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে ৭০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৯২০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে পুরানো যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও কৃষকদের আখ উৎপাদনে আগ্রহের অভাবের কারণে চিনি উৎপাদন হার কম হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পুরানো ব্রিটিশ আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে মিল পরিচালনা করার ফলে প্রতি বছর খরচ বাড়ছে, যা লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, চাষিদের সচেতন করতে এবং আখ উৎপাদন বাড়াতে মিল কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করছে। তবে, প্রতি বছর লোকসান হলেও ব্যাংক ঋণ ও সরকারের ভ্যাট পরিশোধ করতে হয়, যার ফলে মিলটির আর্থিক সংকট বেড়েই চলেছে।
- ট্যাগ সমূহঃ
- মোবারকগঞ্জ
- চিনিকল
![মোবারকগঞ্জ চিনিকলে প্রতি কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় ৫৪২ টাকা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)