ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১২ আগস্ট, ২০২৪ | ৩:৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
রাশিয়ার ৩০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে ইউক্রেন
১২ আগস্ট, ২০২৪ | ৩:৮ পিএম
ছবি: সংগ্রহ
ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার ৩০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছে মস্কো। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এটি রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের সবচেয়ে গভীর অনুপ্রবেশ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সেনারা টোলপিনো এবং ওবশচি কোলোদেজ গ্রামের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাদের উপর কড়া নজর রেখেছে। কুর্স্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলা ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা কিয়েভকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘তারা রাশিয়ার শান্তিপূর্ণ জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।’
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভাষণে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ কিয়েভ এই গ্রীষ্মে রাশিয়ার কুরস্ক থেকে অন্তত ২ হাজারটি আন্তঃসীমান্ত হামলা শুরু করেছে।’
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সেনার সাঁজোয়া যানসহ শত্রুর মোবাইল গ্রুপগুলোর হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে প্রবেশের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজ যাচাই করেছে বিবিসি। ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাশিয়ার অভ্যন্তরে লেভশিঙ্কা গ্রামে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।
আরো দেখা গেছে কুর্স্ক অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বসতি দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা । রাশিয়ার প্রায় ৩ কিলোমিটার অভ্যন্তরে গুয়েভো গ্রামে ইউক্রেনের সেনারা প্রবেশ করেছে। তারা স্থানীয় একটি প্রশাসনিক ভবন থেকে রাশিয়ার পতাকা অপসারণের পর ইউক্রেনের পতাকা উড়াচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনারা ইতোমধ্যেই রাশিয়ার একটি প্রাকৃতিক গ্যাসের ট্রানজিট নিজেদের দখলে নিয়েছে।
তাদের সংবাদকর্মীরা কুরস্ক অঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনের সাঁজোয়া যান ও ট্যাংককে এগিয়ে যেতে দেখেছে। কনভয়গুলোতে ত্রিভুজাকার চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইউক্রেনে ব্যবহৃত ট্যাংগুলো থেকে আলাদা।
বেশ কয়েকটি ছবি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে রাশিয়া কুরস্ক পারমাণিবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে নতুন একটি প্রতিরক্ষামূলক লাইন নির্মাণ করছে। সেখান থেকে ইউক্রেনের সেনারা মাত্র ৫০ কিলোমিটার দুরত্বে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
রাশিয়া বলেছে কুরস্ক অঞ্চলের সীমান্ত এলাকা থেকে ৭৬ হাজার মানুষকে ইতোমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এলাকাটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভও বলেছেন, শনিবার গভীর রাতে কুর্স্কের আঞ্চলিক রাজধানী কুরস্কের একটি বহুতল ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। হামলায় ভবনটি ধ্বংসের পাশাপাশি আহত হয় অন্তত ১৫ জন।
ওলেক্সি গনচারেঙ্কো নামের ইউক্রেনের একজিন এমপি বিবিসিকে বলেন, এই অভিযানকে আমরা স্বাগত যানাই। আমরা এ অভিযানের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করবো, শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো।