ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:৪৯:৫৮ পিএম

স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ চায় বিটিএমএ

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩১ এএম

স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ চায় বিটিএমএ

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) দেশের টেক্সটাইল খাতের স্বার্থে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছে। তারা সুতা আমদানির জন্য সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। সম্প্রতি বিটিএমএ অর্থ উপদেষ্টাকে এই বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

 

 

চিঠিতে বিটিএমএ জানিয়েছে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তবে দেশের টেক্সটাইল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে টেক্সটাইল খাতের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে, এবং বিদেশি সুতার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে, যা বেকারত্বের সংখ্যা বাড়াতে পারে।

 

 

এছাড়া বিটিএমএ উল্লেখ করেছে যে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ডলারের সংকট, অস্বাভাবিক সুদহার, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে টেক্সটাইল খাত বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এর মধ্যে, ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে কাস্টম হাউস ব্যবহারের মাধ্যমে ডাম্পিং মূল্যে সুতা ও কাপড় আমদানি করা হচ্ছে, যা দেশের টেক্সটাইল শিল্পের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

 

 

বিটিএমএ আরও বলেছে, বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা সহ অন্যান্য স্থলবন্দর ও কাস্টম হাউসগুলিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, সুতার কাউন্ট পরিমাপক যন্ত্র এবং দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে, যা আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনা করতে সমস্যা সৃষ্টি করছে। এর ফলে সুতার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আমদানি করতে বাধা তৈরি হচ্ছে।

 

 

এছাড়া, স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে অননুমোদিত সুতার বাজারজাতকরণও বাড়ছে, যা খাতটিকে অসম প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে এবং সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। বিটিএমএ সুতার আমদানির ক্ষেত্রে আংশিক শিপমেন্টের অনুমতির মতো সিদ্ধান্তগুলোও অযৌক্তিক এবং এটি ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছে।

 

 

সংস্থাটি সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে, দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দেশের টেক্সটাইল খাতের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।

স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ চায় বিটিএমএ