চলমান অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত ধীরগতির প্রকল্পগুলো থেকে ৬৭০ মিলিয়ন ডলার অন্যান্য খাতে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, এর মধ্যে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তায় এবং বাকি অর্থ নতুন প্রকল্পে ব্যবহৃত হতে পারে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) গত সপ্তাহে এই নতুন পরিকল্পনা বিশ্বব্যাংকের কাছে অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছে। আগামী মাসে, বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, যে আটটি প্রকল্প থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়া হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চশিক্ষার স্বীকৃতি ও রূপান্তর, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন, ডিজিটাল সরকার, টেকসই বন ও জীবিকা, সড়ক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং আরও বেশ কিছু প্রকল্প।
বিশ্বব্যাংক গত কয়েক বছরে ১১টি প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছিল, তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরির কারণে মাত্র ৬৬১.৮ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে গত বছর জুন পর্যন্ত। এরই মধ্যে, সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৭৫ মিলিয়ন ডলার এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার অন্য খাতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের মাধ্যমে গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা এবং নাটোর-নবাবগঞ্জ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও পরামর্শক নিয়োগ করতে পারেনি।
এছাড়া, ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রকল্পেও দেরি হয়েছে এবং ২২ মিলিয়ন ডলার অন্য খাতে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার এই অর্থায়ন থেকে সম্ভাব্য খরচ পরিবর্তন করে দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায়।