ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:০৭:৫৮ পিএম

১১ বছরে কমেছে শিল্প খাতের অবদান : বিবিএস

৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:১০ পিএম

১১ বছরে কমেছে শিল্প খাতের অবদান : বিবিএস

ছবি: সংগ্রহ

গত ১১ বছরে বাংলাদেশের শিল্প খাতের অবদান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৭৭ শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ছিল ১১.৫৪ শতাংশ। একদিকে যেখানে শিল্প খাতের অবদান হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে দেশজ উৎপাদন (GDP) এবং অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী আগারগাওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কে এস মুর্শিদ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।

 

 

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে দেশের মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ছিল ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪টিতে। অর্থাৎ, গত ১১ বছরে দেশে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৯টি বেড়েছে, যা প্রায় ৫১.৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

 

 

এছাড়া, উৎপাদন খাতে মোট উৎপাদনের পরিমাণ ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল এক লাখ ৯৭ হাজার ১২৭ কোটি টাকা, যা এখন প্রায় ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে—একই সময়ে উৎপাদন খাতের মোট উৎপাদনমূল্য প্রায় ৫.৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, উৎপাদন খাতে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা গত ১০ বছরে মাত্র ১৫.৩৯ শতাংশ বেড়েছে, যা পূর্ববর্তী ১০ বছরে তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

 

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেবা খাতের অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা গত ১০ বছরে ৫৬.৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলস্বরূপ সেবা খাতের মোট অবদান ৮৮.৮৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯১.২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

 

 

দেশের অর্থনৈতিক শুমারির এই রিপোর্টে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত ১০ বছরে দেশে মাত্র ৬২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে অধিকাংশই সেবা খাতে নিয়োজিত। শিল্প খাতে প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৮টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে, যা দেশের ডিজিটাল বাণিজ্য খাতের বিকাশকে নির্দেশ করে।

 

 

এছাড়া, প্রতিবেদনে দেশের গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকার মধ্যে অর্থনৈতিক ইউনিটের বিস্তার এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া লক্ষ্য করা যায়। ২০১৩ সালে যেখানে শহরাঞ্চলে ছিল ২২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৬টি প্রতিষ্ঠান, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৩১ হাজার ২০৩টিতে।

 

 

এমন পরিস্থিতিতে, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

১১ বছরে কমেছে শিল্প খাতের অবদান : বিবিএস