ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ২:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ছয় মাসে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ২:৪৫ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
এক বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর, সরকার আবারও সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ১১ সদস্যের একটি নতুন কমিটি সুগন্ধি চালের রপ্তানির পরিমাণ এবং রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করেছে। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, প্রতি বছর ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি করা হবে, যা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক সমিতি (বিআরএ) ও বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) তাদের আবেদনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন রপ্তানি করার প্রস্তাব দিলেও, কমিটি ২৫ হাজার টন রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে বাপা প্রতি কেজি চালের দাম ১.৩০ মার্কিন ডলার নির্ধারণের দাবি করলেও, সরকার চূড়ান্তভাবে প্রতি কেজি চালের দাম ১.৬০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট খাতের কর্মকর্তাদের সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট রপ্তানি অনুবিভাগে জমা দেয়ার জন্য জানানো হয়েছে।
এটি নিশ্চিত করতে, গত ২২ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় সুগন্ধি চাল রপ্তানি উন্মুক্ত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এরপর ১১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয় রপ্তানির পরিমাণ এবং মূল্য নির্ধারণের জন্য।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বেড়ে ১০ হাজার ৮৭৯ টনে পৌঁছায়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, একই সময়ে সুগন্ধি চাল রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ প্রায় ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছিল।
সুগন্ধি চালের রপ্তানি পুনরায় চালু হওয়ায়, দেশীয় চাল রপ্তানির অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে, তবে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি না থাকার কথা জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।
- ট্যাগ সমূহঃ
- ছয় মাসে
- ২৫ হাজার
- সুগন্ধি চাল
- রপ্তানির
- সিদ্ধান্ত
