ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ
৩৬৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার কোটি টাকা জব্দ
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:২৪ এএম

ছবি: সংগ্রহীত
অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৬৬টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন থামানো হয়েছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১১২টি মামলার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএফআইইউ অর্থ পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এবং বড় ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য উদ্যোগ নেয়। সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করে প্রায় ২২৫টি তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
জব্দ করা ব্যাংক হিসাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও পরিবারের তালিকায় আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। এছাড়াও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আকবর সোবহান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং এর অধীনস্থ ‘ইয়াং বাংলা’ প্রকল্পের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ, নাসা গ্রুপ এবং নাবিল গ্রুপের মালিকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তামাল, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত এবং এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এবং একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বিএফআইইউ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেন বা অর্থ পাচারের প্রমাণ না পাওয়া গেলে সেগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের অর্থ পাচারের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন সিআইডি ও দুদকে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
