ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:১৭:২৭ পিএম

বড় জাহাজে পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্যোগ: খরচ কমছে, দক্ষতা বাড়ছে

৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১:৪৪ পিএম

বড় জাহাজে পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্যোগ: খরচ কমছে, দক্ষতা বাড়ছে

ছবি: সংগ্রহীত

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বড় জাহাজে পণ্য পরিবহনে উৎসাহ দিচ্ছে, যা দেশের আমদানি-রপ্তানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই উদ্যোগে পণ্য পরিবহনে সময়, খরচ এবং ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা এবং দক্ষতা বাড়ছে।

 

বর্তমানে বন্দরে ২ হাজার থেকে ২,২০০ টিইইউস ধারণক্ষমতার বড় জাহাজ নিয়মিত আসছে। এমনকি আড়াই হাজার টিইইউস ধারণক্ষমতার জাহাজও চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ছে। ২০২৪ সালে ৩,৮৬৭টি জাহাজের মাধ্যমে ৩.২৭ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার এবং ১২৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে।

 

 

বড় জাহাজ ব্যবহারে জাহাজের সংখ্যা কমে আসায় বন্দরের পাইলট, টাগবোট এবং বার্থের ব্যবহার সাশ্রয়ী হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও আমদানি-রপ্তানিতে ব্যয় কমছে। পণ্যের পরিবহন খরচ কমায় আমদানি-রপ্তানিকারকরা লাভবান হচ্ছেন।

 

বড় জাহাজ ব্যবস্থাপনায় বন্দরের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • জাহাজের আকার বৃদ্ধি: বর্তমানে ২০০ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর ব্যবহার করতে পারছে।
  • গিয়ারলেস জাহাজের অগ্রাধিকার: গিয়ারলেস জাহাজে ক্রেন ছাড়াই পণ্য বহন সম্ভব হওয়ায় এটি সাশ্রয়ী।
  • হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণ: লালদিয়া উত্তর এলাকায় ভারী কার্গো হ্যান্ডলিং জেটি নির্মাণ চলমান।

 

পোশাক রপ্তানিতে বড় জাহাজ ব্যবহারের মাধ্যমে রপ্তানি কনটেইনার দ্রুত শিপমেন্টের সুযোগ পাচ্ছে। বন্দরের কর্মকর্তারা জাহাজে ভারসাম্য রক্ষায় কনটেইনার লোডিংয়ে সহযোগিতা করছেন।

 

 

চট্টগ্রাম বন্দরে এফসিএল কনটেইনার ইয়ার্ড থেকে ডেলিভারির পরিবর্তে অফডকে স্থানান্তর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি কার্যকর হলে বন্দরের হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়বে ১ মিলিয়ন কনটেইনার এবং সরকারের আয় বাড়বে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

 

 

বড় জাহাজ ব্যবহারে চট্টগ্রাম বন্দরের পদক্ষেপ বৈদেশিক বাণিজ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে। খরচ কমানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বন্দরগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াবে।

বড় জাহাজে পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্যোগ: খরচ কমছে, দক্ষতা বাড়ছে